
Buttermilk Benefit: ভারতীয় ঘরে ছাছ খাওয়ার রীতি বহুদিনের। গরমে ছাছের চাহিদা বাড়লেও শীত এলেই অনেকেই তা কমিয়ে দেন। অথচ আয়ুর্বেদ মতে, ছাছ সব ঋতুতেই উপকারী এবং শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ছাছ শুধু তৃষ্ণা মেটায় না, খাবার হজম করতেও বড় ভূমিকা নেয়। দইয়ের প্রোবায়োটিকস পেটের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়, যা শীতকালেও হজমশক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। আয়ুর্বেদাচার্য বালকৃষ্ণ জানান, যাঁদের পেটে নানা সমস্যা থাকে, তাঁদের জন্য ছাছ বিশেষ উপকারী।
খাবারের সঙ্গে ছাছ খেলে বদহজম, গ্যাস, পেটফাঁপা বা ক্ষুধামন্দা কমে। সেন্ধে লবণ, ভাজা জিরে আর কালো মরিচ মিশিয়ে বানানো ছাছ স্বাদে ভাল এবং দ্রুত হজমেও সহায়ক। এতে থাকে ক্যালসিয়াম, প্রোবায়োটিকস ও প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইট।
ছাছ শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং হজমতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে। খাবারের পর যদি ভারী লাগে বা গ্যাসের সমস্যা হয়, ছাছ উপকার দেয়। সেন্ধে লবণ শরীরের ইলেকট্রোলাইট ঠিক রাখে, জিরে হজম বাড়ায়, আর কালো মরিচ গ্যাস কমায়।
স্বাস্থ্যকর ছাছ বানাতে এক গ্লাস ছাছের সঙ্গে একটু সেন্ধে লবণ, আধা চামচ ভাজা জিরে গুঁড়ো আর সামান্য কালো মরিচ মিশিয়ে ভালভাবে ফেটিয়ে নিলেই তৈরি। খাবারের সঙ্গে বা পরে খাওয়া যায়। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, শীতে ছাছ খুব ঠান্ডা যেন না হয়।
যাঁরা বারবার সর্দি-কাশিতে ভোগেন, তাঁদের ছাছ খেতে সতর্ক থাকতে হবে। আর যাঁদের অ্যাসিডিটির সমস্যা বেশি, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ছাছ খাবেন। আয়ুর্বেদ মতে, নিয়ম মেনে তৈরি ছাছ সারা বছরই শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে।