Weight Loss At 50: ৫০ বছর পার হলে আমাদের শরীরে অনেক পরিবর্তন আসে পেশির গঠন, হরমোনের ভারসাম্য ও বিপাকীয় হার ধীরে ধীরে বদলে যায়। এই পরিবর্তনের ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে, তবে সঠিক নিয়ম মেনে চললে তা একদমই অসম্ভব নয়।
ডায়েট বিশেষজ্ঞ ড. অর্চনা বাত্রা বলছেন, "এই বয়সে শরীরের পেশি, হরমোন ও বিপাক ক্রিয়ার পরিবর্তন দেখা যায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। তবে যদি কেউ তার খাদ্যাভ্যাস, জীবনধারা এবং ব্যায়ামের উপর নজর দেন, তাহলে তিনি সুস্থ ও ফিট থাকতে পারবেন।"
তাহলে কীভাবে ওজন কমাবেন?
১. ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ করুন-ওজন কমাতে চাইলে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ এড়াতে হবে। খাবারের ক্যালোরি সম্পর্কে সচেতন হোন এবং ছোট প্লেটে খাবার খান, যাতে পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২. দৈনন্দিন রুটিন ঠিক করুন-শরীরের নমনীয়তা ও ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য পিলাটেস, যোগব্যায়াম ও স্ট্রেচিং করুন। এটি মোবিলিটি বাড়াবে এবং চোট-আঘাতের ঝুঁকি কমাবে।
৩. কার্ডিও এক্টিভিটি করুন-হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে ও ক্যালোরি বার্ন করতে সাইক্লিং, সাঁতার, নাচ এবং হাঁটার মতো শারীরিক কার্যকলাপ করুন।
৪. সুষম খাবার খান-প্রোটিন বিপাকক্রিয়া বাড়ায় এবং পেশির গঠন বজায় রাখে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, সবজি, হোল গ্রেন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান অন্তর্ভুক্ত করুন।
৫. প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলুন-ভাজা খাবার, অতিরিক্ত চিনি ও প্যাকেটজাত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
বয়স কোনো বাধা নয়, যদি আমরা আমাদের শরীরের যত্ন নিতে শিখি। সঠিক ডায়েট, নিয়মিত ব্যায়াম ও ইতিবাচক মানসিকতা থাকলে ৫০-এর পরেও সুস্থ ও ফিট থাকা সম্ভব। তাই আজ থেকেই সচেতন হন এবং সুস্থ জীবনের দিকে এগিয়ে যান!