NOTIFICATIONS
19th May
Summer Vacation Best Destination India: সামনেই গরমে ছুটি। এই সুযোগে কলকাতায় বা বাংলায় পড়ে পড়ে গরমে সেদ্ধ হয় কোন পাগল! চলুন দেশের সেরা দশটি গন্তব্যের কথা জেনে নিই। খরচ কেমন, কীভাবে যাবেন জেনে রাখি। কারণ সময় থাকতে জেনে না রাখলে সপরিবারে হাওয়াবদল করতে গিয়ে দ্বিধায় পড়তে পারেন। কোথায় যাবেন? কত টাকা খরচ? সঠিক রুট কী? সেখানে পর্যটকদের ঘোরার জন্য কোন জায়গাগুলো ভাল- সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন। রইল ভারতের ১০টি সুন্দর পর্যটন গন্তব্যের হালহকিকত।
গুলমার্গ (জম্মু ও কাশ্মীর)- কাশ্মীরের গুলমার্গ মধুচন্দ্রিমার প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে। শীতকালে, গুলমার্গ তুষারে সাদা। বসন্তের পর থেকে নানা রংয়ের ফুলে ভরে থাকে। এখানে স্কিইং, স্লেডিং, গন্ডোলা রাইড এবং ট্রেকিং উপভোগ করতে পারেন।
খরচ -প্রায় ২৫,০০০-৩০,০০০ টাকা।
রুট- নিকটতম বিমানবন্দর শ্রীনগর। নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন জম্মু। সেখান থেকে আপনাকে গাড়ি বা বাসে গুলমার্গ পৌঁছতে হবে।
ঘোরার জায়গা- গুলমার্গ স্কাই এরিয়া, বাবা রেশি মন্দির, নাগিন ভ্যালি, গল্ফ কোর্স এবং খিলানমার্গ।
ম্যাকলিওডগঞ্জ (হিমাচল প্রদেশ)- ম্যাকলিওডগঞ্জ হিমাচল প্রদেশের কাংড়া জেলার একটি ছোট জায়গা। এই স্থানটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬,৩৮১ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। তিব্বতি ধর্মগুরু দালাই লামা এখানেই থাকেন। সেজন্য এই স্থানটি পর্যটকদের জন্যও আকর্ষণীয়। ম্যাকলিওডগঞ্জে বৌদ্ধমঠ এবং নৈসর্গিক পরিবেশের জন্য আদর্শ ভ্রমণস্থল।
খরচ- প্রায় ১০ হাজার টাকা।
রুট- নিকটবর্তী বিমানবন্দর গগ্গল। রেলস্টেশন অম্ব অন্দউরা। এছাড়া গাড়ি নিয়ে দিল্লি-সোপিপত-পানিপত-করনাল-অম্বালা-রূপনগর-আনন্দপুর সাহিব আর নাঙ্গল হয়ে পৌঁছতে পারেন।
দেখার জায়গা- ত্রিউন্ড, ভাগসু জলপ্রপাত, ভগুনাথ মন্দির, নামগ্যাল মঠ, কাংড়া ফোর্ট।
শিলং (মেঘালয়)- বাঙালির প্রিয় জায়গার মধ্যে একটি। হাওয়াবদলের জায়গা শিলং। শিলং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪,৯০৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এখানকার উঁচু পাহাড় স্কটল্যান্ডের কথা মনে করিয়ে দেয়।
খরচ - প্রায় ২০,০০০-২৫,০০০ টাকা।
রুট- নিকটতম বিমানবন্দর উমরোই প্রায় ২৫ কিমি দূরে। রেলওয়ে স্টেশন গুয়াহাটি।
পর্যটন আকর্ষণ- এলিফ্যান্ট ফলস, শিলং পিক, ওয়ার্ডস লেক, পুলিশ বাজার, উমিয়ম লেক এবং সুইট ফলস
গ্যাংটক (সিকিম)- সিকিমের গ্যাংটক সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫,৪১০ ফুট উচ্চতায় হিমালয় পর্বতমালায় অবস্থিত। গ্যাংটকের আবহাওয়া সারা বছরই মনোরম থাকে। ১৮৪০ সালে আঞ্চি মঠ গঠনের পর এটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। গ্যাংটক প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে প্রিয় জায়গা।
খরচ- প্রায় ২৫,০০০-৩০,০০০ টাকা।
রুট- নিকটতম বিমানবন্দর পাকিয়ং। তবে প্রায়ই বন্ধ থাকে দুর্যোগের কারণে। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে নেমেও যেতে পারেন। নিউ জলপাইগুড়ি নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন।
পর্যটন আকর্ষণ- রুমটেক মঠ, নাথুলা পাস, সোমগো লেক, হনুমান টোক, কাঞ্চনজঙ্ঘা
কুর্গ (কর্নাটক)- কর্নাটকের কুর্গ চূড়া এবং সুন্দর উপত্যকার জন্য বিখ্যাত। নৈসর্গিত প্রকৃতির জন্য জন্য ভারতের সেরা পর্যটন স্পটগুলির মধ্যে ধরা হয়। বিশাল চা বাগান, সবুজ বন ও প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন। বন্ধুদের সঙ্গে বা হানিমুন স্পট হিসেবে কুর্গ আদর্শ।
খরচ- প্রায় ২৫০০০-৩০০০০ টাকা।
রুট - কুর্গ যাওয়ার জন্য রেল বা বিমানপথই শ্রেয়। নিকটতম ম্যাঙ্গালোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং রেলওয়ে স্টেশন মহীশূর।
দেখার জায়গা- দুবারে এলিফ্যান্ট ক্যাম্প, অ্যাবে ভ্যালি, নাগারহোল ন্যাশনাল পার্ক, ওমকারেশ্বর মন্দির, চেতালি।
সান্দাকফু (পশ্চিমবঙ্গ)- পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ের উপরে রাজ্যের উচ্চতম শৃঙ্গ। এখানে সারাবছরই হাড়কাঁপানো ঠান্ডা থাকে। শীত-বসন্ত তুষারপাত হয়। সাধারণত গরমকালে তুলনামূলক মনোরম থাকে। তবে আচমকা তুষারপাত হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। খরচ-১০০০০-১২০০০ টাকা। রুট-নিকটতম বিমানবন্দর বাগডোগরা। নিউ জলপাইগুড়ি নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন। ঘোরার জায়গা-ব্রিটিশ আমলের চালু ল্যান্ডওভার এখানকার আকর্ষণ। নানা রকম বগনভেলিয়া, অর্কিড, রডোডেনড্রন আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর অপরূপ কাঞ্চনজঙ্ঘা এখানকার দারুণ আকর্ষণ।
মাউন্ট আবু (রাজস্থান)- মাউন্ট আবু রাজস্থানের সিরোহি জেলায় অবস্থিত একটি জনপ্রিয় পর্যটনস্থল। মাউন্ট আবু সবুজ সমভূমি, জলপ্রপাত, হ্রদ এবং নদী দ্বারা বেষ্টিত। মাউন্ট আবুতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ বেড়াতে যান।
খরচ- প্রায় ৮০০০ টাকা।
রুট- নিকটতম ডবোক বিমানবন্দর। আবু রোড নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন। দিল্লি-গুরুগ্রাম-পুষ্কর-আলওয়ার-আজমেঢ় হয়ে মাউন্ট আবু পৌঁছতে পারেন।
পর্যটন আকর্ষণ- দিলওয়ারা জৈন মন্দির, সানসেট পয়েন্ট, অচলেশ্বর মহাদেব মন্দির, মাউন্ট আবু বাজার এবং বন্য অভয়ারণ্য।
নৈনিতাল (উত্তরাখণ্ড)- উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দেখার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা। এই সুন্দর হিলস্টেশনটি সবুজ পাহাড় এবং হ্রদ দ্বারা বেষ্টিত। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬,৮৩৭ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। নৈনিতালের পাহাড় থেকে ২ মাইল জুড়ে আমের আকৃতির একটি হ্রদও রয়েছে।
খরচ- প্রায় ৫০০০ টাকা।
রুট- দিল্লি থেকে কাছে সাড়ে ৩০০ কিলোমিটারের কম। কাঠগোদাম এখানকার নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন। দিল্লি-মোরাদাবাদ-টান্ডা-ডাডিয়াল-বাজপুর থেকে কালাদুঙ্গি হয়ে নৈনিতাল যাওয়া যায়।
দেখার জায়গা- নৈনিতাল লেক, নয়না পিক, কাঞ্চি ধাম, নয়না দেবী মন্দির এবং ইকো কেভ গার্ডেন।
আলমোড়া (উত্তরাখণ্ড)- উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া উত্তর ভারতের সবচেয়ে সুন্দর স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম। এই জায়গাটি উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুন পর্বতমালায় অবস্থিত। খ্যাত৷
খরচ- প্রায় ১০,০০০ টাকা।
রুট- গাড়ি, বাস, ট্রেন বা উড়ানে আলমোড়া পৌঁছাতে পারেন। পন্তনগর বিমানবন্দর আলমোড়ার নিকটতম। কাছের রেলওয়ে স্টেশন কাঠগোদাম। সড়কপথে দিল্লি-মোরাদাবাদ-রুদ্রপুর-হলদওয়ানি-রানিখেত হয়ে আলমোড়া পৌঁছাতে পারেন।
ঘোরার জায়গা- গোবিন্দ বল্লভ মিউজিয়াম, চিতই গোলু দেবতা মন্দির, আলমোড়ার কালীমঠ এবং কাসর দেবী মন্দির। সেরা সময়- এপ্রিল থেকে জুলাই।
চিৎকুল (হিমাচল প্রদেশ) - চিৎকুল হিমাচল প্রদেশের একটি সুন্দর গ্রাম। এটি ভারত-তিব্বত সীমান্তের শেষ শহর। বসপা নদীর তীরে অবস্থিত চিৎকুলে অবাধে ঘুরতে পারেন ভারতীয়রা।
খরচ - মোটামুটি ১৬,০০০ টাকা।
রুট- নিকটতম বিমানবন্দর ভুন্টার। নিকটতম রেল স্টেশন কালকা। এছাড়া গাড়ি চালিয়ে দিল্লি-চণ্ডিগড়-শিমলা-কারচম হয়ে চিৎকুলে পৌঁছতে পারেন।
দেখার জায়গা- মাথি মন্দির, স্রোতস্বিনী নদী, হাইড্রো ফ্লোর মিল, বৌদ্ধ মন্দির, আপেল বাগান এবং চিৎকুল ফোর্ট।
