এখন আর ঘটকরা ছেলে-মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রে ঘটকালির সুযোগ পান না। কারণ, এই প্রজন্মের অধিকাংশ ছেলে-মেয়েই নিজেদের জীবনসঙ্গী নিজেরাই বেছে নিতে পছন্দ করেন। ফেসবুক, হোয়াটস্যাপের মতো ভার্চুয়াল সামাজিক মাধ্যম থেকেই আজকাল পছন্দের মানুষ খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই! তবে এ সবের পাশাপাশি বিয়ের ক্ষেত্রে ঘটকালির জন্য বিভিন্ন বিশ্বস্ত ডেটিং অ্যাপ তো রয়েছেই।
তবে শুধু ছেলে-মেয়েরাই নয়, অনেকটাই বদলে গিয়েছেন এই প্রজন্মের মায়েরাও। সারা দেশের ৫,০০০ যুবক, যুবতীকে নিয়ে করা সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই প্রজন্মের অধিকাংশ মায়েরাই ছেলে-মেয়েদের লাভ ম্যারেজের পক্ষে! শুধু তাই নয়, ছেলে-মেয়ের বিয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্র বা পাত্রী খোঁজার ক্ষেত্রেও অনেক মায়েরাই ভরসা রাখেন ডেটিং অ্যাপে!
TrulyMadly দেশের ৫,০০০ যুবক, যুবতীকে নিয়ে এই সমীক্ষা চালিয়েছিল। এই সমীক্ষার রিপোর্টে কলকাতার মায়েরা আধুনিক মনস্কতার ক্ষেত্রে, ছেলে-মেয়েদের লাভ ম্যারেজ অথবা ডেটিংয়ের বিষয়ে নিজেদের মতামত ও অবস্থানের নিরিখে দেশের অন্যান্য শহরের মায়েদের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে।
এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কলকাতার ৮৫ শতাংশ মায়েরা ছেলে-মেয়েদের লাভ ম্যারেজের পক্ষেই সমর্থন জানিয়েছেন! শুধু তাই নয়, ছেলে-মেয়ের বিয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্র বা পাত্রী খোঁজার ক্ষেত্রেও কলকাতার ৫০ শতাংশ মায়ের ভরসা ডেটিং অ্যাপে!
এই সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৬০ শতাংশ উত্তরদাতার ধারণা, মায়েরা এখনও মেয়েদের কেরিয়ার এবং লেখাপড়ার তুলনায় তাদের বিয়েকেই অগ্রাধিকার দেন। ৫৪ শতাংশ মনে করেন, মায়েরা ছেলের কেরিয়ার আর শিক্ষা নিয়েই বেশি চিন্তা করেন।
এই সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪৫ শতাংশের বেশি উত্তরদাতা বলেছেন যে, বাবার চেয়ে মা-ই তাঁর বিয়ে নিয়ে বেশি চিন্তা করেন। ছেলে, মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই এই উত্তর মিলেছে। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৭০ শতাংশ মহিলা আর ৮০ পুরুষ উত্তরদাতা জানিয়েছেন যে, তাঁদের মায়েরা লাভ ম্যারেজের পক্ষে।
মায়েরা সন্তানের বিয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্র বা পাত্রী খোঁজার ক্ষেত্রে ডেটিং অ্যাপের উপর ভরসা করেন বলে জানিয়েছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া উত্তরদাতাদের ৫০ শতাংশই। ডেটিং অ্যাপ সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই ২০ শতাংশ মায়েদের। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া মাত্র ৭ শতাংশের জবাবে জানা গিয়েছে যে, তাঁদের মায়েরা ডেটিং অ্যাপ পছন্দই করেন না।