একটু ভেবেচিন্তে এগোন
অনলাইন ডেটিং অ্যাপে আপনি একসাথে অনেকের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, কিন্তু তা বলে বেহিসেবি হয়ে যাবেন না। একটু ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ নেওয়া ভালো। এমন যেন না হয় যে একসাথে অনেককে ডেট করার মজা নিতে গিয়ে আপনাকেই সাজা পেতে হল!
আগেই ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার নয়
কম্পিউটার স্ক্রিনের ওপারের মানুষটিকে আপনার পছন্দ হচ্ছে, তিনিও বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কিন্তু এই ভালো লাগাটা আপাতত ডিজিটাল জগতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখুন। বাস্তবে উনি কিন্তু একজন অপরিচিত মানুষ। তাই ঘটা করে আগেভাগেই নিজের ঠিকানা, ফোন নম্বর, অফিসের হদিশ দিতে যাবেন না। আগে সামনাসামনি আলাপ-পরিচয় হোক, আরও চিনুন জানুন ,তার পর না হয় তথ্য দেবেন।
কোনও ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে গোটা বিষয়টা জানিয়ে রাখুন
কারও প্রেমে পড়লে তাঁকে নিয়ে যুক্তিনির্ভর চিন্তা করার ক্ষমতাটা হারিয়ে যায়। তাই কোনও বন্ধুকে আপনার অনলাইন প্রেমের বিষয়টি জানিয়ে রাখুন। কোনও কারণে ঝামেলায় পড়লে তিনিই আপনাকে সাহায্য করবেন।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, অনলাইনে পরিচয়ের পর ডেটিং-এর ব্যাপার আসলে প্রথমেই আসে নিরাপত্তার প্রসঙ্গ। তাই ফাঁকা নির্জন এলাকা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। সবচেয়ে ভাল কোন জনপ্রিয় কফশপ বা রেস্তোরাঁয় দেখা করা। সেইসঙ্গে এলাকাটা যেন নিজের চেনাজানা হয়।
অনেকে আবার জীবনসঙ্গী বাছতে ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে নাম রেজিস্ট্রি করেন। সেখানেও সহজেই কানেক্ট হয়ে যায় কলকাতা থেকে ক্যালিফোর্নিয়া। তারপর নিজের বাড়িতে বসেই চলতে থাকে বাক্যালাপ। তবে অনলাইন ডেটিংয়ে এগনোর আগে অবশ্যই কয়েকটি বিষয়ের ওপর খেয়াল রাখতে হবে।
নিজের ব্যক্তিগত ছবি পাঠাবেন না
বর্তমান সময়ে ফোটো মর্ফিং বা সুপার ইমপোজ়িশনের মতো শব্দগুলোও নিশ্চয়ই আপনার জানা। অনলাইনে যার সঙ্গে ডেটিং করছেন তিনি আপনার ব্যক্তিগত ছবি নিয়ে অন্য় কিছু করবেন না, কে বলতে পারে?
করোনা মহামারি বদলে নিয়েছে আমাদের জীবন সার্কেল। দিনের বেশিরভাগ সময়টাই আমাদের এখন ঘরেই কাটাতে হয়। অফিসও চলছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম কনসেপ্টে। আর এই আবহেই অনলাইন ডেটিং ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
ডিজিটাল ভারতের বর্তমান প্রজন্মের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিন্ডার ছাড়া জীবন অচল। এখন প্রেমটাও যেন হয়ে গেছে প্রযুক্তিনির্ভর। ভার্চুয়াল পৃথিবীর অলিগলিতে ঘুরতে ঘুরতেই এমন কোনও মানুষের সঙ্গে আপনার দেখা হয়ে যেতেই পারে, যাঁকে আপনার বেশ পছন্দ হয়ে গেল। প্রাথমিক আলাপ-পরিচয়ের পর বুঝলেন, তিনিও আপনাকে অপছন্দ করছেন না! ফলে রোজই সময় পেলে চ্যাট, মেসেঞ্জারে গল্প চলতে থাকল। হয়তো আর ক’দিন পরে ফোন নম্বরটাও দেওয়া নেওয়া হল। আর তারপর হয়তো বাড়িতে বসেই চলতে থাকল ভার্চুয়াল জগতে ডেটিং।
অনলাইন ডেটিং সাইটে যেগুলি মাথায় রাখবেন
ডেটিং অ্যাপে নিজের বিষয়ে সীমিত পরিমাণ তথ্য দিন। উদাহরণস্বরূপ পেশার নাম দিলেও কোন সংস্থায় কাজ করেন দেবেন না। লোকেশান অনুযায়ী ম্যাচ দেখানো হয় টিন্ডারের মতো অ্যাপে। সেই লোকেশন ম্যানুয়ালি সেট করুন। ডেটিং বা ম্যাট্রিমনি অ্যাকাউন্টে সোশ্যাল মিডিয়ার লিঙ্ক দেবেন না। আর প্রথমে ডেটিং অ্যাপের মেসেজেই চ্যাট করুন। অচেনা ব্যক্তিকে হুট করে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দেবেন না।
ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করে নিন
ভার্চুয়াল জগতে নিজের আসল পরিচয় গোপন করে অন্য কিছু সেজে থাকা খুব সহজ। তাই কারও সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠ হওয়ার আগে দেখে নিন ব্যক্তিটি আসল কিনা। ভিডিও চ্যাট করতে চান, যাতে ফোটোর সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারেন। যদি তিনি ভিডিও চ্যাট করতে না চান, তা হলে কিন্তু সাবধান হওয়ার সময় হয়েছে।
বাস্তবে দেখা করুন
অনির্দিষ্টকালের জন্য ভার্চুয়াল সম্পর্ক চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। প্রাথমিক পরিচয়, কিছুদিন কথাবার্তা চালানোর পর দেখা করতে চান। যদি উনি দেখা করার ব্যাপারে আগ্রহী না হন, তা হলে আর না এগোনোই ভালো।
সততাই সম্পর্কের চাবিকাঠি
আপনার প্রোফাইল আর আপনার বাস্তব জীবনের মধ্যে যেন ভারসাম্য বজায় থাকে সেদিকে একটু খেয়াল রাখবেন। প্রোফাইল পিকচার হিসেবে নিজের রিসেন্ট ছবি রাখুন। আপনার পেশা, পছন্দ বা অপছন্দ, শখ এগুলো সম্বন্ধে মিথ্যে করে বানিয়ে কিছু না লেখাটাই শ্রেয়।