Aloe Vera Planting Rules: বহু রোগের দাওয়াই অ্যালোভেরা! বাড়িতে কীভাবে এই গাছের যত্ন করবেন?

অ্যালোভেরা বহুজীবী ভেষজ উদ্ভিদ। এর ভেষজ গুণ দারুণ। অ্যালোভেরা ত্বক থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পর্যন্ত শরীরের অনেক সমস্যা নিরাময়ে সহায়ক।

অ্যালোভেরা গাছ কেবল ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না। এটি স্বাস্থ্য এবং ত্বক উভয়ের জন্যই উপকারী। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী এমন একটি উদ্ভিদ, যা বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। 

অ্যালোভেরার পাতা থেকে নিষ্কাশিত জেল রোদে পোড়া ত্বক, চুল পড়া প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। তবে আপনি যদি এটি বাড়িতে চাষ করেন, তাহলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যালোভেরা গাছের প্রতিদিন প্রায় ৪-৬ ঘণ্টা পরোক্ষ সূর্যালোকের প্রয়োজন হয়। যদি বারান্দায় বা জানালার কাছে রাখেন, তাহলে নিশ্চিত করুন গাছটি যেন তীব্র রোদের মধ্যে না থাকে। সরাসরি সূর্যালোকে থাকলে পাতা পুড়ে যেতে পারে এবং হলুদ হতে পারে।

অ্যালোভেরার শিকড় অতিরিক্ত জল সহ্য করে না। তাই জলাবদ্ধতা রোধ করার জন্য মাটিতে বালি এবং পার্লাইট যোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ৬০% বাগানের মাটি, ৩০% বালি এবং ১০% কম্পোস্টের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। 

মানুষের সবচেয়ে সাধারণ ভুল হল প্রতিদিন জল দেওয়া। মনে রাখতে হবে, অ্যালোভেরার কম জল প্রয়োজন। মাটি সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে তবেই জল দিন। শীতকালে, প্রতি ৭-১০ দিন অন্তর জল দেওয়া যথেষ্ট।

 যদি পাতায় ধুলো জমে থাকে, তাহলে হালকা ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। পাতায় সরাসরি জল ঢালা এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে পচন ধরে।

যখন গাছটি খুব বড় হয় বা পাত্রটি খুব ছোট হয়ে যায়, তখন প্রতি ২-৩ বছর অন্তর নতুন মাটি দিয়ে এটিকে একটি বড় পাত্রে স্থানান্তর করুন। এতে শিকড় ছড়িয়ে পড়ার জায়গা পাবে এবং গাছটি সুস্থ থাকবে।

অ্যালোভেরা ঠান্ডা আবহাওয়া সহ্য করে না। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে গাছটিকে ঘরের ভেতরে নিয়ে আসুন। যদি পোকামাকড় বা ছত্রাক দেখা দেয়, তাহলে নিমের তেল হালকা করে স্প্রে করুন।
 

 যদি আপনার অ্যালোভেরা পাতা ঝরে পড়তে শুরু করে, তাহলে এটি খুব বেশি জল অথবা খুব কম সূর্যালোকের ইঙ্গিত দেয়। এক্ষেত্রে, জল কমিয়ে সূর্যালোক বৃদ্ধি করুন।