সারা বিশ্বে নানা ধরনের সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রয়েছে। খাবার থেকে খেলা, গান থেকে ট্রাভেল, এ সব নিয়ে বহু মানুষ সোশাল মিডিয়ায় নানা ছবি ভিডিও পোস্ট করেন এবং মোটা টাকা রোজগার করেন।
এই ১ বছরের শিশু এখন বিশ্বের কনিষ্ঠতম সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসাবে শিরোনামে চলে এসেছে। সোশাল মিডিয়ায় বেবি ব্রিগস (Baby Briggs) নামেই বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে ১ হাজার মার্কিন ডলার রোজগার তার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৭৫ হাজার টাকা।
মাত্র ৩ সপ্তাহ বয়স থেকে পরিবরের সঙ্গে ঘুরে বেরাচ্ছে ব্রিগস। টানা ৪৫ দিন ধরে মার্কিন মুলুকের ১৬টি রাজ্য ঘুরে ফেলেছে সে। যার মধ্যে রয়েছে আলাস্কা, ফ্লোরিডা, ক্যালিফোর্নিয়া, ইউটা, ইডাহো-র মতো রাজ্য।
ব্রিগস-এর মা জেস জানিয়েছেন, গত বছর অক্টোবর মাসের ১৪ তারিখ জন্ম ব্রিগসের। এর মধ্যেই সে আলাস্কায় ভালুক, ইউলোস্টোন ন্যাশনাল পার্কে নেকড়ে, ইউটার ডেলিকেট আর্চ এবং ক্যালিফোর্নিয়ার উষ্ণ সমুদ্র সৈকত দেখে ফেলেছে।
এর মধ্যেই খুদে ব্রিগসের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ফলোয়ারের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। জেস অবশ্য আগে থেকেই ট্রাভেল ব্লগ লিখতেন এবং সেখান থেকে সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়ানোর টাকা জোগাড় করতেন।
জেস বলেন, ২০২০ সালে যখন আমি প্রেগনেন্ট হই তখন যথেষ্ট চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম আমার কেরিয়ার নিয়ে। ছোট সন্তানকে নিয়ে ট্রাভেল করা তো সহজ নয়।
স্বামীর সঙ্গে আমি এ বিষয়ে কথা বলি। ইন্টারনেট এবং সোশাল মিডিয়া ঘাঁটতে শুরু করি কী ভাবে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে ট্রাভেল করা যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এত ছোট বাচ্চাকে নিয়ে ট্রাভেল করার বিষয়ে কিছুই খুঁজে পাইনি। তখন সিদ্ধান্ত নিই আমি নিজেই এ বিষয়ে সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করব এবং ছোট বাচ্চা নিয়ে ট্রাভেল করার ভালো-মন্দ দিক গুলো তুলে ধরব।
কোভিড মহামারী চলাকালীনও তাঁরা কোভিড প্রোটোকল মেনে ট্রাভেল করেছেন। তাঁরা মূলত রোড ট্রিপ এবং স্থানীয় ভ্রমণের উপরই জোর দিয়েছিলেন। ফলে সোশাল ডিসট্যান্স রাখতে সমস্যা হয়নি। জেস জানান, এ কারণেই নিউ ইয়র্ক বা বড় বড় শহর তাঁরা এড়িয়ে গিয়েছেন। ছোট ছোট জায়গার সুন্দর সৃমুহূর্ত গুলিই তাঁরা ট্রাভেল ব্লগে তুলে ধরেছেন।