scorecardresearch
 
Advertisement
লাইফস্টাইল

Blue Blood Humans: নীল রক্তের মানুষও হয়! দেখেছেন? রইল কারণ...

নীল রক্তের গল্প
  • 1/9

Blue Blood অর্থাৎ নীল রক্তের শব্দের প্রথম ব্যবহার ১৮১১ সালের কাছাকাছি শুরু হয়েছিল। এটি কোনও কুলীন পরিবারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। সেটি ওই সময়ের কথা যখন উচ্চ সামাজিক স্তরের লোকেরা সাদা চামড়ার ভিত্তিতে শ্রেণি বিভাজন করা হতো। তারা কাজের লোক, মধ্য বর্গীয় লোক, মুটে, মজুরদের জন্য এভাবে শব্দ ব্যবহার করত।

নীল রক্তের গল্প
  • 2/9

সূর্যের রশ্মির হাত থেকে দূরে থাকার কারণে বিভিন্ন রং চমকদার হয়ে যায়। যারা রোদে কাজ করেন তাদের রং মলিন হয়ে যায়। কিন্তু কী হবে, যদি সত্যিই কারও রক্ত নীল হয়ে যায়! বহু সামুদ্রিক জীব এমন রয়েছে যার রং নীল হয়ে গিয়েছে। যেমন কাঁকড়া, গলদা চিংড়ি, মাকড়সা, অক্টোপাস এদের রং নীল হয়। অর্থাৎ অবশ্য তাদের রং পুরোপুরি নীল হয় না। এর পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। যার কারণে আপনি জানলে হয়রান হয়ে যাবেন।

নীল রক্তের গল্প
  • 3/9

এই সমস্ত প্রাণীদের শিরায় নীল রক্ত বয় না। তাতে হালকা নীল এর একটা প্রভাব দেখা যায়। নীল রঙ এ কারণে দেখায়, কারণ ত্বকের ওপর সূর্যের আলো এসে পড়ে ও রকম দেখায়। শিরায় বয়ে যাওয়া রক্তে কম অক্সিজেন থাকে। সেখানে আরও বেশি থাকে যদি সত্যিই কারণ রক্ত নীল হয়ে যায়। তাহলে তার দুর্লভ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

Advertisement
নীল রক্তের গল্প
  • 4/9

রক্ত নীল হয়ে গেলে যে রোগ সবচেয়ে আগে হবে, তার নাম মেদামোগলবিনেমিয়া। এই রোগ ছাড়াও আরও বেশ কিছু রোগ রয়েছে, যে আপনাকে অসুবিধায় ফেলতে পারে। সামান্য পরিস্থিতিতে লাল রক্ত কণিকা রেড ব্লাড সেল মজুত থাকা হিমোগ্লোবিন, প্রোটিন অক্সিজেনকে নিয়ে নিজের শরীরের মধ্যে প্রত্যেক দিকে সাপ্লাই করতে থাকে। মানুষের হিমোগ্লোবিন লাল রং, লাল রং পদার্থ থাকে। আয়রনের কারণে রক্তের রং লাল দেখায়।

নীল রক্তের গল্প
  • 5/9

হিমোগ্লোবিনের একটা ভেরিয়েন্ট আছে যার নাম মেদামোগলবিন। আয়রন এর মধ্যে থাকে। কিন্তু এর অবস্থা থাকে ফেরাস fe2 +. হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে অক্সিজেন এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে না। সেটি মেদামোগলবিনিমিয়া রোগ তৈরি করে দেয়। জেনেটিক গড়বড় হয়ে যাওয়ার কারণে শরীরের মেদামোগলবিন এর মাত্রা বেশি হয়ে যায়। এর মধ্যে রক্তের রং নীল দেখায়, লাল নয়।

নীল রক্তের গল্প
  • 6/9

রক্তের রং নীল হয়ে গেলে কোনও সমস্যা তৈরি হতে পারে? আসলে এই পৃথিবীতে মজুত রয়েছে। মানুষের শরীরে হিমোগ্লোবিনের জেনেটিক ভেরিয়েন্ট মেদামোগলবিন এর মাত্রা বেশি হওয়ার কারণে মেদামোগলবিনেমিয়া হয়। এই প্রসঙ্গে কেন্টাকির নীল পরিবার দারুণ উদাহরণ।

নীল রক্তের গল্প
  • 7/9

নীল লোকেদের গল্প তখন সামনে এসে যখন মার্টিন ফুগেট নামে একটা ফ্রান্সিসির অনাথ ব্যক্তি কেন্টাকি travel-freak এ গিয়ে থাকতে শুরু করেন। বহু বছর পর তিনি আমেরিকার মহিলা এলিজাবেথের সঙ্গে বিয়ে করেন। পরিবার শুরু হয়। মার্টিন এবং এলিজাবেথ দুজনেরই শরীরে মেদামোগলবিন এর মাত্রা বেশি ছিল। দুজনে সন্তানের বাবা-মা হবে যার মধ্যে ৪ জনের শরীরে এই সমস্যা চলে আসে। এ কারণে তাদের এবং নীল দেখায়।

Advertisement
নীল রক্তের গল্প
  • 8/9

পরিবার বাড়তে থাকে এবং তিনি নিজের আত্মীয়দের সঙ্গে বিয়ে করতে থাকেন। পরিণামে তারা মেদামোগলবিন এর বেশি মাত্রায় ওয়ালা লোক সংখ্যায় বাড়তে শুরু করে। ওষুধের সাইড ইফেক্ট এর কারণে এটা হয়। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে ২৫ বছর বয়সী মহিলার কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মহিলার দাঁতে ব্যথা ছিল। তিনি ওষুধ নিয়েছিলেন, একজনকে দেখা যাচ্ছে, যার নাম পল কেলাসন। তিনি কোলাইডল সিলভার ব্যবহার করে নিজের রং নীল করিয়েছিলেন।

 

নীল রক্তের গল্প
  • 9/9

যেখানে পর্যন্ত কাঁকড়া মাকড়সা লবস্টার অক্টোপাসের রং নীল হয়, কারণে তাদের রক্তের বদলে তাপমাত্রা বেশি থাকে। হিমোগ্লোবিনের আলাদা আলাদা ভেরিয়েন্ট রয়েছে। যার পেছনে রেসপিরেটরি পিগমেন্টস এর যোগদানও থাকে অনেকটাই। 

Advertisement