ঠান্ডার মরশুমে বেশিরভাগ লোক আলস্যের মধ্যে দিয়ে যে সময় কাটান। এ কারণে নিজের শরীরের প্রতি তেমন যত্ন নিতে পারেন না। যদিও এখন গরমের সময়ে চলে এসেছে। তাই বদলে যাওয়া মরসুমে শরীরে দিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভাবে নজর রাখতে হবে। আসুন জেনে নেই, কীভাবে আপনি আপনার বডি, গরমের সময় সুস্থ চনমনে রাখতে পারবেন।
সময়ে ঘুমোন
সময়ে ঘুমনোর রুটিন তৈরি করুন। গরমের সময় লম্বা হয়। তাই শীতকালের তুলনায় এই মরশুমে লোকেরা রাতে দ্রুত ঘুমাতে পারেন না। ঘুম আসেই না। যদি আপনি বিছানায় যাওয়ার পরে খুব দ্রুত ঘুমোতে না পারেন, তাহলে নাকে এসেন্সিয়াল অয়েল এর দুটো ফোঁটা দিয়ে দিন। স্টাডি রিপোর্ট অনুসারে এসেনশিয়াল অয়েল এর সুগন্ধ বডিকে রিল্যাক্স করে দেয় এবং দ্রুত ঘুম চলে আসে।
স্কিন কেয়ার
শীতকালে মুখের চামড়া শুষ্ক হয়ে যায় এবং তার ফলে বিভিন্ন রকম চুলকানি এবং চর্মরোগ দানা বাঁধতে পারে। আপনার ত্বক গরমের সময় ভালো করে দেখভাল করুন এবং স্কিন এক্সফলিয়েট করেন। আমাদের মরা চামড় বেরিয়ে আসবে এবং নিজের ত্বকে জেল্লা আসবে। গরম জলে স্নান করুন এবং মুখ সব সময় ঠান্ডা জলে ধোবেন।
পোকামাকড় থেকে বাঁচুন
গরমের সময়ে মশা এবং মাছির মত পোকামাকড় থেকে বিভিন্ন রকম রোগ ছড়ায়। এ থেকে বাঁচার জন্য পুরো হাতে কাপড় পড়ুন। ফুল হাতা জামা, বাহুঢাকা পোশাক পড়ুুুুুুন। মশার রিপেলেন্ট লাগান। তাহলে মশা কামড়ালে তার প্রভাব পড়বে না। এছাড়া ঘরে ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। ঘরের আশপাশে জল জমতে দেবেন না।
খাওয়া দাওয়ার উপর মনোযোগ দিন
গরমের সময় খাওয়া-দাওয়ার উপর খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণভাবে নজর রাখা উচিত। হালকা খাবার খাওয়া উচিত। যা খুব তাড়াতাড়ি পাচিত হতে পারে। হেলথ এক্সপার্টের বক্তব্য যে তখনই কিছু খাবেন, যখন আপনার সত্যি কারের খিদে পাবে। না হলে আপনার পেট সব সময় ভারী ভাব থাকবে। ওজন বাড়তে থাকবে এবং গরমের সময় অস্বস্তি তৈরি হবে। আপনি কী খাচ্ছেন সেটাও নজর রাখা উচিত। অযথা খাবার খান এবং তৈলাক্ত খাবার খাবেন না।
সঠিক জুতা পড়ুন
গরমের সময় জুতোর কারণে একটা বড় সমস্যা তৈরি হয়। জুতো খারাপ হতে পারে এবং পা গরম থাকলে সারা শরীরে তার প্রভাব পড়ে। তাই সঠিক ভালো মানের মানের জুতা পরুন। পোশাক-আশাক দামি না হলেও চলবে কিন্তু দ্রুত ভালো কোয়ালিটির জুতো হওয়া উচিত। ভাল জুতো আপনার পুরো শরীরকে শান্তি দেবে।
ওয়ার্কআউট জরুরি
গরমের সময় ওয়ার্কআউট খুব বেশি জরুরি। শীতকালে আমরা অলস হয়ে পড়ি। সেই জড়তা শরীরে থেকে যায়। গরমকালে তাই শরীরকে সঠিক রক্ত সঞ্চালন এবং আগের জায়গায় নিয়ে আসতে রুটিন তৈরি করে ওয়ার্কআউট করা উচিত। খুব বেশি সময় না হলে অন্তত দিনে আধঘন্টা একটা নির্দিষ্ট সময়ে দৌড়ঝাঁপ ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন। এতে আপনার শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। প্রতিদিন এক্সেরসাইজ করলে ব্লাড সার্কুলেশন এবং থাকবে ভালো থাকবে।
পার্সোনাল কেয়ার রুটিন
শীতকালে আলস্যের কারণে লোক এরা নিজের ওপর খুব একটা গুরুত্ব দেন না। প্রত্যেকদিন ময়লা পরিষ্কার রাখুন। অবশ্যই পরিষ্কার জিনিস ব্যবহার করুন। ব্যবহার করতে পারেন তাতে অনেক রোগ জীবাণু থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
প্লান্ট বেস্ট ডায়েট
প্লান্ট বেসড ডায়েট নেওয়ার জন্য আপনাকে শাকাহারি হতে হবে এমন কোন দিব্যি নেই। আপনি আপনার ডায়েটে প্রাণীজ প্রোটিন এর পাশাপাশি বিভিন্ন শাক সবজি রাখুন। তাহলেই হবে তাতে খুব বেশি ফাইবার প্রোটিন ভিটামিন এবং মিনারেলস পাবেন। গরমের সময়ে সালাদ খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। বিভিন্ন ফল, আনাজ, সবজি, ডাল এবং মাছ আপনার দায়িত্বে রাখুন।
ব্যাকআপ- শিডিউল তৈরি করুন
শরীরের দেখভাল করার জন্য আপনি যত তাড়াতাড়ি একটিভ হয়ে যাবেন ততই আপনার জন্য ভালো। আপনার রুটিন ব্যাকআপ একটা শিডিউল তৈরি করুন এবং সমস্ত জরুরি জিনিসগুলি টেস্ট করান। অসুস্থ হওয়ার পর ব্যাকআপ করানোর জন্য অপেক্ষা করবেন না। মেকআপ করার জন্য সুস্থ লোকের পক্ষে জরুরি। তাহলে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব থাকে। আর আপনার কাজে আসবে। যে কোনও বিষয়টি আপনার কনট্রোল করলে আগামীতে বড় কোন রোগের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে পারেন।