Cardiac Arrest vs Heart Attack: বলিউড অভিনেতা সতীশ কৌশিক ৬৬ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন। গত কয়েক বছর ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। আগে যেখানে দীর্ঘায়ু হওয়ার পর হৃদরোগের ঘটনা সামনে আসত, বর্তমানে তরুণদের মধ্যেও এই ঘটনা দেখা যাচ্ছে। ভীতিকর বিষয় হল কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে হৃদস্পন্দন কাজ করা বন্ধ করে দেয় এবং অবিলম্বে চিকিৎসা না পেলে মৃত্যু ঘটে। অনেকে হার্ট অ্যাটাক এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মধ্যে গুলিয়ে ফেলেন কিন্তু দু'টির মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কী?
যখন একজন ব্যক্তির হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায় এবং শরীরের বাকি অংশে রক্ত সরবরাহ করতে অক্ষম হয়, তখন সেই অবস্থাকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলে।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে কী হয়?
যখন একজন ব্যক্তির কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়, তখন সে অজ্ঞান হয়ে যায় বা কয়েক মিনিটের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে যায়। এটা চিন্তার বিষয় যে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পেলে মানুষ মারা যায়।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণ কী?
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট সম্পর্কে সবচেয়ে ভীতিকর বিষয়গুলির মধ্যে একটি হল এটি যে কোনও সময় যে কেউ ঘটতে পারে। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকও এর একটি কারণ হতে পারে। এ ছাড়া, যদি কোনও ব্যক্তির হার্টের পেশি দুর্বল থাকে, তাহলে এর কারণেও তিনি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হতে পারেন।
হার্ট অ্যাটাক কী?
হার্ট অ্যাটাক কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট থেকে আলাদা এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের চেয়ে কম বিপজ্জনক। হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীতে বাধা সৃষ্টি হলে বা ধমনী ১০০% অবরুদ্ধ হয়ে গেলে সেই ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হয়।
হার্ট অ্যাটাকে কী হয়?
হার্ট অ্যাটাকের ঠিক আগে একজন ব্যক্তির অনেক ধরনের উপসর্গ দৃশ্যমান হয়। এর মধ্যে বুকে ব্যথা বা বুকে ভারী ভাব অনুভূত হওয়া সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। এ ছাড়া শ্বাসকষ্ট, ঘাম হওয়া বা বমি হওয়াও সাধারণ লক্ষণ। এই লক্ষণগুলি অবিলম্বে বা এমনকি কয়েক ঘন্টা পরে প্রদর্শিত হয়।
হার্ট অ্যাটাকের কারণ কী?
আপনার খারাপ জীবনধারা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। যদি আপনার জীবনযাত্রা সঠিক না হয় তবে আপনি নিজেকে এমন গুরুতর হার্টের অবস্থার দিকে নিয়ে যান। আজকাল মানুষের ভুল খাওয়া বা সঠিক ঘুম না হওয়া বা ব্যায়াম না করা হার্ট অ্যাটাকের একটি সাধারণ কারণ হতে পারে।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায়
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এড়াতে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্টের সঠিক যত্ন নিলে হৃদরোগ এড়ানো যায়। এ জন্য জীবনযাত্রা সুস্থ রাখুন, সঠিক খাবার খান, প্রতিদিন ব্যায়াম করুন, ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন, মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন, ধূমপান-মদ্যপান করবেন না, সময়ে সময়ে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকুন।