সুস্থ শরীরের পিছনে কিডনির বড় ভূমিকা রয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণে মানুষের কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিডনির সমস্যা হলে অনেক কিছুই খাওয়া নিষিদ্ধ। জানুন, কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার কীস কী জিনিস খেতে অস্বীকার করেন।
টমেটো
প্রতিদিন টমেটো খেলে কিডনি রোগীদের সমস্যা হতে পারে। আপনি কি জানেন, এক কাপ টমেটো সসে ৯০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। এর পরিবর্তে আপনি যদি ভাজা লাল মরিচের সস ব্যবহার করেন, তবে এটি আরও ভাল হবে।এই সস সুস্বাদু ও এতে পটাশিয়াম কম থাকে।
আলু
কিডনি রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্যও আলু ভাল নয়। একটি মাঝারি আকারের আলুতে প্রায় ৬১০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম পাওয়া যায়। আলু কাটার পর প্রায় ১০ মিনিট সিদ্ধ করলে এতে পটাশিয়ামের পরিমাণ কমে যায়।
দুগ্ধজাত দ্রব্য
দুগ্ধজাত দ্রব্যে অনেক খনিজ এবং ভিটামিন থাকলেও, প্রচুর ফসফরাস এবং পটাসিয়াম থাকে। এর অতিরিক্ত দুধ খেলে কিডনীর সমস্যা আছে এমন রোগীদের হাড়ের উপর খুব খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। হাড়ে ফসফরাস বৃদ্ধির কারণে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়, যার কারণে মানুষের হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে।
কলা
কলা একটি উচ্চ পটাসিয়ামযুক্ত খাবার, তাৎক্ষণিক শক্তির সেরা উৎস। এতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম হলেও প্রায় ৪২২ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম রয়েছে। কিডনি রোগীদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কলা না থাকাই ভাল।
গাঢ় রঙের সোডা
কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সোডা খাওয়া উচিত নয়। এতে মজুত ফসফরাস আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়। এটি সোডার স্বাদ এবং রং পরিবর্তন করতে ব্যবহৃত হয়। লবণে কিছু পরিমাণ ফসফরাসও পাওয়া যায়। ২০০ মিলিলিটার সোডায় প্রায় ৫০-১০০ মিলিগ্রাম ফসফরাস পাওয়া যায়।
কমলালেবু
ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ কমলালেবুও একটি উচ্চ পটাশিয়াম জাতীয় খাবার। একটি বড় কমলালেবুতে প্রায় ৩৩৩ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম পাওয়া যায়। এক কাপ কমলালেবুর রস থেকে শরীর প্রায় ৪৭৩ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম পায়। কমলালেবুর পরিবর্তে আঙুর, আপেল এবং ক্র্যানবেরি খাওয়া ভাল বিকল্প।
গমের রুটি
ব্রেকফাস্টে খাওয়া রুটির ব্যাপারেও খুব যত্ন নেওয়া উচিত। কিডনি রোগীদের ফাইবার সমৃদ্ধ গমের রুটি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস ও পটাশিয়াম। প্রায় ৫৭ মিলিগ্রাম ফসফরাস এবং ৬৯ গ্রাম পটাসিয়াম পাওয়া যায় এর ২০-গ্রাম গমের রুটিতে।
ব্রাউন রাইস
ব্রাউন রাইস ফসফরাস এবং পটাসিয়ামের প্রধান উৎস হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এক কাপ ব্রাউন রাইসে প্রায় ১৫০ মিলিগ্রাম ফসফরাস এবং ১৫৪ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। আপনি যদি ব্রাউন রাইস খাওয়া বন্ধ না করেন, তবে আপনার খাদ্যতালিকায় কম ফসফরাস এবং পটাসিয়াম জাতীয় খাবার রাখুন যাতে এটি ভারসাম্য বজায় থাকে।