করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর থেকে দেশের কোভিড পরিস্থিতি প্রতি দিন খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনা নতুন স্ট্রেন শুধুমাত্র বেশি সক্রামকই নয়, তার সঙ্গে এর মারণ ক্ষমতা আঘের তুলনায় অনেক বেশি। হোম আইসোলেশনে অনেকেই সুস্থ হচ্ছেন। কিন্তু এই ৫ লক্ষ্মণ থাকলে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছএন চিকিৎসকরা। দেখে নিন কোন সেই ৫ লক্ষ্মণ।
নিঃশ্বাসের কষ্ট: নিঃশ্বাসের কষ্ট বা বুকে ব্যথা যদি অনুভব করেন তবে দেরি না করে হাসপাতালে যান। এটা গভীর সংক্রমণের লক্ষ্মণ হিসাবে দেখছেন চিকিৎসকরা। করোনা ভাইরাস রেস্পিরেটরি ইনফেকশন ঘটায়। এটা আপার ট্র্যাক্টের সুস্থ কোষগুলিকে আক্রমণ করে। সে জন্যএই নিঃশ্বাসের কষ্ট দেখা যায়।
অক্সিজেন লেভেল কমে যাওয়া: করোনা রোগীর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। করোনা পজিটিভ হলে ফুসফুসে ফ্লুইড দেখা দেয়। যার ফলে ফুসফুস তার স্বাভাবিক কাজ করতে পারে না। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। এটা হলে রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই অক্সিজেন লেভেল কমে গেলে দ্রুত হাসপাতালে যান।
ঝিমুনি বা জ্ঞান হারানো: এমন অনেক ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে করোনার ফলে রোগীর ব্রেন ফাংকশনে সমস্যা দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে স্নায়ুতে এর প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। অনেক রোগীর মধ্যে ঝিমুনি ভাব, জ্ঞান হারানো, অতিরিক্ত ক্লান্তি-র মতো লক্ষ্মণ দেখা গিয়েছে। যদি সহজ কাজ করতে বা পরিষ্কার কথা বলতে সমস্যা হয় তবে দেরি করবেন না হাসপাতালে যেতে।
বুকে ব্যথা: করোনা ভাইরাস অনেক সময় ফুসফুসের মিউকোসল লাইনিংয়ে আক্রমণ করে। সে কারণে বুকে ব্যথা এবং জ্বলুনি অনুভব করতে পারেন। এমন হলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে।
ঠোঁট নীল হয়ে যাওয়া: অনেক করোনা রোগীর ঠোঁট এবং মুখের বিভিন্ন অংশ নীল হতে দেখা গিয়েছে। এটা অক্সিজেন লেভেল কমে যাওয়ার লক্ষ্মণ। ডাক্তারি ভাষায় একে হাইপক্সিয়া বলা হয়। এ কারণে আমাদের শরীর ঠিক মতো কাজ করতে পারে না।
সাধারণ করোনার লক্ষ্মণ গুলি জেনে নিন: জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা-খুসখুস করা, গায়ে ব্যথা, জয়েন্ট পেইন, স্বাদ এবং গন্ধের অনুভূতি চলে যাওয়া। সাধারণ এগুলি করোনার লক্ষ্মণ বলে মনে করা হচ্ছে। এগুলো থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে করোনা পরীক্ষা করুন। যদি পজিটিভ আসে সে ক্ষেত্রে বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকুন।
কখন হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই: কয়েকটি লক্ষ্মণ থাকলে হাসপাতালে যাওযার প্রয়োজন নেই। যেমন হালকা জ্বর, ডায়েরিয়া, ক্লান্তির মতো লক্ষ্মণ থাকলে এমার্জেন্সি সার্ভিস বা ডাক্তারের মরামর্শ মেনে বাড়িতেই চিকিৎসা চলতে পারে।
কোভিড পজিটিভ হলে যা করবেন: যদি করোনা পজিটিভ হন, সে ক্ষেত্রে বাড়িতে একেবারে আলাদা ঘরে কোয়ারেন্টাইনে থাকুন। শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী মহিলা এবং ক্রনিক অসুখে ভোগা ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকতে হবে।