বর্তমানে নিউ নর্মালের যুগে মানুষকে নানা কাজে বাইরে বের হতেই হচ্ছে। মোবাইল নিয়ে রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে কথা বলতে বলছেন। অথবা কোনও কিছু কিনে ফেরত পাওয়া টাকা স্যানিটাইজড না করেই পুরে ফেলছেন পকেট বা ব্যাগে। জানেন কি আপনি অজান্তেই বাড়িতে নিয়ে আসছেন মারণ করোনাভাইরাসকে।
করোনাভাইরাস ২৮ দিন পর্যন্ত ব্যাঙ্ক নোট, মোবাইল ফোনের স্ক্রিন এবং স্টেইনলেস স্টিল সক্রিয় থাকতে পারে বলে অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল সায়েন্স এজেন্সির এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
কাজেই যাঁরা বাইরে বেরোচ্ছেন মোবাইল নিয়ে অথচ বাড়িতে সেটি স্যানিটাইজ না করেই রেখে দিচ্ছে। তাঁদের কাছে এই খবর রীতিমত উদ্বেগজনক। তাই নিয়মিত আপনার মোবাইলটি স্যানিটাইজ করুন।
টাকা বা কাগুজে নোটে সবচেয়ে বেশি করোনা ছড়াতে পারে বলেই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। একাধিক হাত ঘোরে টাকা। তাই করোনা ভাইরাস টাকায় সবচেয়ে তাড়াতাড়ি আসতে পারে। শুধু আসতেই পারেনা টাকা বা কাগুজে নোটে ২৮ দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকে করে ভাইরাস।
ঘরের সাধারণ তাপমাত্রাতেও করোনা ভাইরাস থাকতে পারে। দেখা গিয়েছে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে করোনা ভাইরাস দীর্ঘক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে। এই অবস্থায় শীত কালে সংক্রমণ আরও ভয়ঙ্কর আকার নেবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে করোনাভাইরাসের সক্রিয়তা কমতে থাকে। ৪০ ডিগ্রি ও তার চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় করোনা ভাইরাসের কার্যকরিতা অনেকটই কমে যায়। নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতিতে ২০, ৩০ ও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কৃত্রিম শ্লেষ্মায় উপস্থিত শুকনো ভাইরাস পরীক্ষা করে এই ফল মিলেছে। যা দেখে বিজ্ঞানীদের সতর্কবাণী, গরমের তুলনায় শীতকালে বেশি ভোগাবে এই জীবাণু।
অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল সায়েন্স এজেন্সির প্রধান ল্যারি মার্শাল জানিয়েছেন, গবেষণায় ঠান্ডা আবহাওয়ায় ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।মাংস প্রক্রিয়াকরণ সংস্থা ও কাঁচা বাজারের মতো জায়গায় সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাই নিয়মিত সাবান ও স্যানিটাইজার ব্যবহারে জোর সওয়াল করেছেন তাঁরা।