Banana Multiple Benefits: বাঙালিরা প্রথম ফল হিসেবে বোধহয় কলাকেই চেনে। আমাদের দেশের গ্রামে ঢুকলেই প্রথমে যে গাছ চোখে পড়বে তার মধ্যে অন্যতম কলা। গ্রামে প্রতিটি বাড়িতেই নিজস্ব কলাগাছ রয়েছে। যা গৃহস্থকে সারা বছরের প্রাতঃরাশের যোগান দিয়ে চলে।
সকালে দুধমুড়ি কিংবা চিঁড়ের সঙ্গে কলার ফলাহার তো প্রাচীন যুগ থেকে আমাদের চিরন্তন ব্রেকফাস্ট। কলা যেমন সহজলভ্য এবং পুষ্টিকর। তাই কলা এত জনপ্রিয়।
ব্রেকফাস্টে একটা করে কলা কিংবা এক গ্লাস কলার স্মুদি খেলে আর ফিরে তাকাতে হয় না। রোজকার ডায়েটেও কলা রাখা দারুণ উপকারী। এগুলো আমরা কমবেশি জানি। কিন্তু কলা খেলে যে মনখারাপের মতো স্ট্রেস দূর হয়, তা আমরা অনেকেই জানি না। এ ছাড়াও রয়েছে কলার দারুণ গুণ।
কলাকে বলা হয় সুপারফুড। কলার মধ্যে প্রয়োজনীয় খনিজ এবং শর্করা ছাড়াও বেশ কিছু ভিটামিন রয়েছে। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ম্যাগনেশিয়াম আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
কলা পেশির কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাই শরীরচর্চা করার পর কলা খাওয়া সবচেয়ে ভাল। ওয়ার্ক আউটের পর কোন খাবার খাওয়া উচিত সে নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন। এক্ষেত্রে কলা হল সেরা বিকল্প। ওয়ার্ক আউটের পর আপনি সরাসরি কলা খান। কিংবা স্মুদি বা মিল্কশেক বানিয়ে খেতে পারেন।
মন-মেজাজকে চাঙ্গা করতেও কলা দারুণ উপযোগী। কলার মধ্যে থাকা ম্যাগনেশিয়াম, মন-মানসিকতার উপর প্রভাব ফেলে। এটি মানসিক চাপ, উদ্বেগ কমায়। পাশাপাশি শারীরিক ক্লান্তিও দূর করে।
কলা খেলে ব্লাড-প্রেসারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কলার মধ্যেকার পটাশিয়াম হাই প্রেসার কমায়। তাতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এতে হার্টের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। সারা দিনে যখন খুশি কলা খাওয়া যায়।