খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। শীতকালে খেজুর খেলে শরীর দ্বিগুণ উপকার পায়। লৌহ, খনিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফসফরাস এবং ভিটামিনের কারণে এটিকে আশ্চর্য ফলও বলা হয়। কেউ কেউ তাজা খেজুর খেতে পছন্দ করেন আবার কেউ কেউ দুধের সঙ্গে ভিজিয়ে খান। জেনে নিন ঠান্ডায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা।
ক্যান্সার-হৃদরোগ প্রতিরোধে- খেজুর গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজের ভান্ডার, ডায়াবেটিসে সহায়ক হওয়ার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। এতে কোলেস্টেরল নেই, পাশাপাশি খেজুরে ২৩ ক্যালোরি মেলে। এর পাশাপাশি এটি কোষের ক্ষতি, ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধেও বেশ কার্যকর।
শরীর গরম রাখে- খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং ম্যাগনেসিয়াম। শীতকালে খেজুর খাওয়া খুবই উপকারী। শরীরে তাপ তৈরির পাশাপাশি শক্তিও যোগায়।
হাড় মজবুত - বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড়কে শক্তিশালী করে এমন কোষগুলো ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। হাড় মজবুত করতে খেজুর খুবই উপকারী। খেজুরে ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় যা হাড়কে মজবুত করে।
ত্বককে সুন্দর করুন- খেজুর খেলে ত্বক সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যা দূর হয় এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ করে। খেজুরের বার্ধক্য বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাই তাদের সেবনে তাড়াতাড়ি বার্ধক্য দেখা যায় না।
হাঁপানিতে উপশম- হাঁপানি একটি অত্যন্ত মারাত্মক রোগ। শীতকালে হাঁপানিতে আক্রান্ত রোগীদের শ্বাসকষ্টের অনেক সমস্যা হয়। হাঁপানির রোগীরা প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ২ থেকে ৩টি খেজুর খেলে উপকার হয়।
হজমশক্তির উন্নতিতে কার্যকরী- খেজুর প্রোটিনে ভরপুর। এটি খেলে হজমশক্তি ভালো হয়। এর পাশাপাশি অ্যাসিডিটির সমস্যাও দূর হয়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
স্নায়ুতন্ত্রের উন্নতি ঘটায়- খেজুরে পটাশিয়াম এবং অল্প পরিমাণে সোডিয়াম থাকে। এই দুটিই শরীরের স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে। এছাড়া, পটাশিয়াম কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়াও খেজুর খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে- খেজুরে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম রক্তচাপ বাড়াতে বাধা দেয়। প্রতিদিন ৫-৬টি খেজুর খেলে তা রক্তচাপের রোগীদের জন্য উপকারী।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে- খেজুরে ফাইবার পাওয়া যায়, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগ দূর করে। এর জন্য খেজুর সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দ্রুত দূর হবে।