দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2022) মেতে উঠেছে গোটা বাঙালি। গত কয়েক বছর ধরেই পুজোয় ঠাকুর দেখা শুরু হয়ে যায় মহালয়ার দিন থেকেই। ভিড় এড়াতে বহু মানুষ আগেভাগেই মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাকুর (Pandal Hopping) দেখতে বেরিয়ে পড়েন। রাত জেগে চলে ঠাকুর দেখা, সঙ্গে চলে আড্ডা ও দেদার খাওয়া দাওয়া। কারণ, পুজো মানেই সারাদিন ভুরিভোজ। তাই শিকেয় ওঠে ডায়েট (Diet)।
পুজোর ক'দিন দেদার ভুরিভোজের কারণে পেটের গোলমাল বা শরীর খারাপ হতেই পারে, এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। রাত জাগলে শরীরের উপরে খারাপ প্রভাব পড়তে বাধ্য। সে ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু পরামর্শ (Diet Tips) মানলেই আগের মতো শরীর থাকবে তাজা ও ঝরঝরে।
রাতে ঠাকুর দেখলে দিনের বেলা পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম (Rest) নিতে হবে। ক্লান্তি ও অনিয়মের ফলে শরীরের ক্ষতি অনেক ভরাট করে দেবে পর্যাপ্ত ঘুম। অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোতেই হবে।
সকালে, দুপুরে ও রাতে বাড়ির তৈরি হালকা সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। ব্রেকফাস্ট , দুপুর ও রাতের খাবার সময়মতো খেতে হবে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে কয়েকটা আমন্ড, কাজু, খেজুর খাওয়ার কথা। চাইলে রাতে জলে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খেতে পারেন। কয়েকটা টাটকা ফলও মুখে ফেলে দিতে পারেন। ফল আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এবার আসুন সকালের খাবারে। ব্রেকফাস্টে সাবুর খিচুড়ি বা ওটসের খিচুড়ি খাওয়া যেতে পারেন। তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
দুপুরে ভাত বা রুটি, একবাটি সবজি, ডাল, স্যালাড, মাছ খান। মাছ, চিকেন, ডিম, সয়াবিন, সয়া রোজকার ডায়েটে রাখুন। ভারী তেলমশলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভাল। শেষপাতে একবাটি টকদই অবশ্যই রাখতে হবে। তাতে খাবার হজম হবে তাড়াতাড়ি।
রোজ অন্তত আধঘণ্টা এক্সারসাইজ, যোগব্যায়াম করতে হবে। সেটা সম্ভব না হলে আধঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করতে হবে।
ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড, প্রসেসড ফুড যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। প্যাকেটজাত ফলের রস না খেয়ে মরশুমি তাজা ফল খেতে হবে। চা, কফি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। খুব চায়ের নেশা থাকলে গ্রিন টি বা চিনি ছাড়া লিকার চা খান।