পুজোর কয়েকটি দিন মানেই রোজকার ধরাবাঁধা নিয়মের ছুটি। এই সময়টা যেন নিয়ম ভাঙার। মণ্ডপে ঘোরা, লেট নাইট, আড্ডা আর সঙ্গে প্রচুর খাওয়া-দাওয়া। এগুলো ছাড়া যেন ইনকমপ্লিট থাকে পুজোর মস্তি। তাই পুজোয় কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে বাকি কোনও কিছুতেই আটকাবে না।
আর অনিয়ম করলে শরীরকে ফলও ভুগতে হয়। খাওয়াদাওয়ার অনিয়মে অ্যাসিডিটি, বদহজম বা শারীরিক অসুস্থতার মুখে পড়তে হয়। পুজোর দিনগুলিতে যাতে সুস্থ থাকা যায় তার জন্য মেনে চলুন এই নিয়মগুলি।
পুজোর সময় রাস্তায় লোভনীয় খাবারের লোভ সামলানো কঠিন। তবে তার মধ্যেও অতিরিক্ত ঝাল-মশলা এড়িয়ে চলতে হবে। আর রোজ ফল খেতে হবে অবশ্যই।
রোল, চাউমিন, তেলেভাজা খেলে মাথায় রাখবেন যেখানে কম তেলে ভাজা হচ্ছে, সেই দোকানেই যান। পুজোর দিনগুলোয় সকালে নিয়মিত অ্যান্টাসিড খেয়ে নিন। তারপর লুচি কিংবা দুপুরে কষা মাংস খেতেই পারেন তবে পরিমাণমত।
রাস্তার খাবার খাওয়ার আগে একবার উঁকি মেরে কড়াই ও প্লেট-ডিশ ধোওয়ার জায়গাটা দেখে নিন। কাটা পেঁয়াজ, স্যালাড কোথায়, কীভাবে রাখা হচ্ছে, তা দেখে নিন। সুস্থ থাকবেন।
যাদের অ্যালার্জির দোষ আছে, তাঁরা আ্যন্টি অ্যালার্জিক ওষুধ বা আপনার চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ সঙ্গে রাখুন। অ্যাজমাটিক হলেও একই কথা প্রযোজ্য।
দিনের বেলায় ঠাকুর দেখতে বের হলে সানস্ক্রিন আর ছাতা ব্যবহার করতেই হবে। পাশাপাশি বৃষ্টি নামলে তা থেকেও বাঁচতে পারবেন। দুক্ষেত্রেই শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তা থেকে বাঁচাতে পারবে ছাতা।
মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে প্রতিমা দর্শন করার প্ল্যান করলে, দিনে হোক বা রাতে। সঙ্গে অবশ্যই জল রাখুন। প্রতিদিন যতটা জল খান, ঘোরার সময় তার থেকে বেশি জল খান পুজোর দিনগুলোয়। আচমকা দোকান থেকে ঠাণ্ডা জল বা কোল্ড ড্রিংক কিনে খাবেন না।
এই সময়ে ঘুরতে বেরিয়ে ডাবের জল, ফলের রস খান। আর প্রাতঃরাশ অবশ্য়ই খাবেন। সকালের খাবার বাড়িতেই খান। তারপর বাইরে বের হন
রেস্তোরাঁয় খাবার পরিকল্পনা থাকলে দিনের বেলা খাওয়া ভাল। রাতে রেস্তোরাঁর মশলাদার খাবার শরীর খারাপ করতে পারে। রাতের দিকে হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন, যাতে দ্রুত হজম হয়ে যায়। আর খাবার খেয়ে হেঁটে হেঁটে ঘোরার চেষ্টা করুন, এতেও খাবার হজম হয়ে যাবে।