হাঁসফাঁস গরমে মুক্তির খোঁজে একটুখানি শরবত-আইসক্রিমের খোঁজে সারাদিনই যেন মন আনচান করে। মনে হয় খাবারদাবার ফেলে দিয়ে শুধুমাত্র আইসক্রিম-শরবত এসবের ডুবে থাকুক মন-মেজাজ।
অন্য কিছু খাবার খাওয়ার এনার্জি একেবারেই থাকে না। শরীর থেকে ক্রমাগত বেরিয়ে যেতে থাকে ঘামের সঙ্গে ফ্লুইড। ফলে শরীর চায় অনেক বেশি ওয়াটার কনটেন্ট। পাশাপাশি গলা আরও শুকনো হয়ে আসে ক্রমশ। তাতে যদি বাহারি আইসক্রিম মেলে, সোনায় সোহাগা।
বাজারে নানা রকম রকমারি আইসক্রিম পাওয়া যায়। তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে বাজার থেকে কেনা আইসক্রিম কেনার চেয়ে ঘরে বানানোই সবচেয়ে ভাল।
আর ঘরোয়া পদ্ধতিতে আইসক্রিম বানানোর সবচেয়ে সুস্বাদু রেসিপি কিন্তু সহজ হল আমের আইসক্রিম বানানো।
এমনিতে আইসক্রিম আমরা সবাই ভালবাসি। পাশাপাশি যতটা আম খেলে মন ভরে, তার চেয়ে অনেক কম আমেই আইসক্রিম বানিয়ে প্রাণজুড়ানো যেতে পারে।
আর ঘরোয়া পদ্ধতিতে আইসক্রিম বানানো অত্যন্ত সোজা। শুধু জানতে হবে সঠিক পদ্ধতি। আসুন আমরা আজকে আলোচনা করি আমের আইসক্রিম নিয়ে।
কি কি লাগবে ঘরে আমের সুস্বাদু আইসক্রিম বানাতে?
১. চারটি মিষ্টি এবং হলুদ অথবা গেরুয়া রঙের আম।
২. ৭৫০ মিলিলিটার দুধ
৩. ১/২ কাপ চিনি
৪. আইসক্রিম ছাঁচ
কীভাবে বানাবেন আইসক্রিম?
সবার প্রথমে চারটি আমকে ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। তার খোসা ছাড়িয়ে আমটিকে আঁটি বার করে একটি পাত্রে শাঁসগুলি বের করে নিতে হবে।
এখন এই শাঁসকে ভালো করে ছাঁকনিতে ফেলে তার নির্যাস অন্য পাত্রে ঢেলে নিতে হবে। যাতে কোনও রকম দানা না থাকে এবং আমের মধ্যে যে আঁশ থাকে, সেটি বাইরে ফেলে দিতে হবে।
এখন আমের প্রস্তুত পাল্পের মধ্যে চিনি পরিমাণমতো মিশিয়ে সেটিকে ঢাকা দিয়ে এক সাইডে কিছুক্ষণ থিতু হতে রেখে দিন।
এখন বড় একটি বাটি নিন। তার মধ্যে দুধ ছেড়ে দিন। এবার চুল্লিতে দুধ বসিয়ে ১৫ মিনিট পর্যন্ত মধ্যম আঁচে হালকা করে নাড়তে থাকুন।
দুধ সামান্য ঘন হয়ে এলে তার মধ্যে মিল্ক মেড বা ক্রিম অ্যাড করুন। এবার সেটিকে ভালো করে মিশিয়ে নিন। আরও মিনিট ১০ নাড়ুন। এরপর ওভেন বন্ধ করে দিন।
এখন এটিকে ঠান্ডা হতে রেখে দিন। ঠান্ডা হওয়ার পর এর মধ্যে আমের পাল্পগুলি দিয়ে এটিকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত ব্লেন্ডারে ভালো করে মিক্স করুন।
এখন এই পুরো মিশ্রনটিকে আইসক্রিম মোল্ডের মধ্যে অথবা আপনি চাইলে বাটি বা অন্য যে কোনও সুবিধামতো পাত্রে সেট হওয়ার জন্য রেখে দিন ফ্রিজারে। তবে পাত্রটি প্লাস্টিক বা কাচের হলে ভাল হয়।