যৌনতা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এবং সুস্থ থাকার জন্যে এটি অবশ্যই প্রয়োজনীয়। তবুও, কিছু মানুষ এই বিষয়টি নিয়ে ঘাবড়ে যায়। এমনকি যৌনতার সংক্রান্ত কোনও কথা বলতে তাঁরা লজ্জা পায়। এই ধরনের ভয়কে 'ইরোটোফোবিয়া' বলা হয়। এক্ষেত্রে মানুষেরা যৌনতা নিয়ে সবসময়ে ভয় পান।
'ইরোটোফোবিয়া'তে মানুষের মনে অনেক রকমের সন্দেহ আসে। যদি ঠিক সময়ে এর চিকিৎসা লা করা হয় তাহলে পরবর্তীকালে এটি একটি মানসিক রোগে পরিণত হয়। যার ফলে অনেক সময়ে রোমান্টিক সম্পর্কও নষ্ট হয়ে যাজায়। অন্যান্য ফোবিয়ার মতো ইরোটোফোবিয়ারও অনেকগুলি লক্ষণ আছে। তবে ব্যক্তি বিশেষে তা ভিন্ন হতে পারে। রইল বিস্তারিত তথ্য।
জেনোফোবিয়া- জেনোফোবিয়া বা অন্য নামে ক্যুইটোফোবিয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া থেকে ভীতি তৈরি হয় । জেনোফোবিয়ায় আক্রান্তরা তাঁদের সঙ্গীকে জড়িতে ধরতে কিংবা চুমু খেতে পছন্দ করলেও এর থেকে বেশি কিছু করতে চান না।
ঘনিষ্ঠতার ভয় - এই ধরণের ফোবিয়ায় আক্রান্তরা মানসিক ভাবে অন্তরঙ্গতার ভয় পান। তাঁদের কোনও ক্রমের শারীরিক সম্পর্কে ভীতি কাজ করে না। তাঁরা সব সময়ে ভয় পান, তাঁদের ভালবাসার মানুষটি ছেড়ে চলে যাবেন।
প্যারাফোবিয়া- এক ধরণের ফোবিয়ায় আক্রান্ত বিভিন্ন ব্যক্তিদের মনে ভিন্ন ধরণের ভয় কাজ করে। কিছু মানুষ ভাবেন এই যৌনতার ফলে তাঁদের কোনও বিকৃতি হতে পারে। অন্যদিকে কেউ কেউ আবার নিজেদের পছন্দ মতো বিধি তৈরি করে যৌন সম্পর্কের উপভোগ করেন।
হাফোফোবিয়া- এই ফোবিয়া থাকা মানুষের কারোও ছোঁয়াতে ভয় পান। যার ফলে মধ্যে আত্মীয়দেও এঁরা বিশ্বাস করতে পারেন না। অনেকে আবার ভয় অত্যাধিক শারীরিক সংযোগের।
জিম্নোফোবিয়া- নগ্নতায় ভয় পান জিম্নোফোবিকরা। কারোও সামনে নগ্ন হতে তাঁরা ভয় পান। এমনকি তাঁদের শরীর নিয়ে সঙ্গী কী ভাববেন এই ভেবে এঁরা শারীরিক সম্পর্কে যুক্ত হতে চান না।
ফিলেমাটোফোবিয়া- এই ফোবিয়াকে অনেকে ফিলেমেটোফোবিয়া নামেও চেনেন। এক্ষেত্রে আক্রান্তরা চুমু খেতে ভয় পান। অনেকে মনে করেন চুমু খেলেই তাঁদের মুখ থেকে কোনও জীবাণু বেরিয়ে আসবে কিংবা যাদের মুখে দূর্গন্ধ, তাঁরাও ভয় পান।
ইরোটোফোবিয়ার কারণ- প্রত্যেক ব্যক্তির পৃথক কারণে ইরোটোফোবিয়া হতে পারে। কারোও ভয়ঙ্কর অতীত যেমন যৌন হেনস্থা বা মানসিক রোগ ইরোটোফোবিয়ার কারণ হতে পারে।