যে কোনও মা-বাবার স্বপ্ন থাকে তাঁদের সন্তান যেন মানুষের মতো মানুষ হয়ে ওঠে। সে লেখাপড়া শিখবে, সমাজে প্রতিষ্ঠা করে নেবে নিজেকর জায়গা। কখনও কোন খারাপ কাজ করবে না।
সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় গর্ভধারণের সময় মা নিঃসন্দেহে সবথেকে বেশি কষ্ট সহ্য করেন। তবে তার লেখাপড়ার ব্যবস্থা জামাকাপড়ের যোগান বা কোনও অসুস্থতা হলে দৌড়াদৌড়ি, ছুটাছুটি সবই করতে হয় তাদের মা-বাবাকে। তাঁদের কোনও তুলনা নেই, একথা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে।
সন্তানকে বড় করে তুলতে বাবারা যেন চুপিসাড়ে কাজ করেন। কত যে আত্মত্যাগ তাঁদের করতে হয়, তার ঠিক নেই। সন্তানকে একটি খেলনা বানান নতুন জামাকাপড় তুলে দেওয়ার জন্য নিজের অপূর্ণই থেকে যায়। সে কথা উচ্চারিত হয় না।
সন্তান ছোট থাকলে সে কথা বোঝে না ঠিকই। কিন্তু পরবর্তীকালে সে বুঝতে পারে তাকে বড় করে তুলতে তার বাবা কি কষ্টটাই না করেছেন।
বাবাকে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। এক একটা ভাষায় তাকে ডাকা হয় এক এক নামে। কোন দেশে বা কোন ভাষায় বাবাকে কি নামে ডাকা হয়, জেনে নিই চট করে।
ইংরেজি অন্যতম জনপ্রিয় ভাষা। ইংরেজিতে বাবাকে বলা হয় ফাদার, ড্যাড, ড্যাডি, পাপা, পপা, পপ নামে। হিন্দিতে বাবাকে ডাকা হল পিতাজী বলে। জার্মান ভাষায় তা হল ফ্যাট্যা। ড্যানিশে বাবা হল ফার।
আর হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় বাবার নাম হল পাপা। এছাড়া সেখানে আরও কয়েকটি প্রতিশব্দ রয়েছে। সেগুলি হল আপা, আপু, এদেসাপা।