মহিলাদের নিয়ে আপনি কী চিন্তা ভাবনা করেন তার প্রভাব পরে আপনার সেক্স লাইফেও। নারীবাদ নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে নানা আলোচনা চলছে। বর্তমানে বিপুল সংখ্যক পুরুষেরা ফেমিনিজম ধারণায় ও মহিলাদের সমর্থন করছেন। সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে, যেই পুরুষেরা ফেমিনিজম সাপোর্ট করেন তাঁদের যৌন জীবন কেমন...
সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে, যেই পুরুষেরা নারীবাদের সমর্থক, তাঁদের যৌন জীবন অনেক বেশী মধুর। আর যাঁদের এই বিষয়ে ভিন্ন মত, তাঁদের আচরণও ভিন্ন হয় তাঁদের পার্টনারের প্রতি।
কানাডায় 'সেক্স ও যৌনতা' নিয়ে একটি গবেষণা করা হয় যার নাম 'দ্য সেক্স ইন কানাডা সার্ভে'। এখানে ভিন্ন মানুষের যৌন আচরণ, যৌনতার ইতিহাস, রাজনৈতিক ও সামাজিক নীতি ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে তাঁদের প্রশ্ন করা হয়।
ওই দেশের ২২ শতাংশ পুরুষদের পাওয়া গেছে যারা ফেমিনিজমে বিশ্বাসী। যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ পুরুষদের দাবী তাঁরা নারীবাদে বিশ্বাসী না। ইতিহাসের দিকে নজর দিকে দেখা যাবে আগে যারা উচ্চ শিক্ষিত তাঁরাই বেশি মাত্রায় এই ধারণায় বিশ্বাসী ছিলেন।
সার্ভে থেকে পাওয়া গেছে, ফেমিনিজম সমর্থনকারী পুরুষেরা অনেক বেশী পারদর্শী সঙ্গমে। শুরু তাই না, এই ধরণের পুরুষেরা তাঁদের পার্টনারের সঙ্গে ওড়াল সেক্স করতে বেশি পছন্দ করেন অন্যদের তুলনায়।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, যেসব পুরুষ নারীবাদ, ফেমিনিজমে বিশ্বাসী, তাঁদের যৌন উত্তেজনা আরও বেশি আকর্ষণীয় হয় এবং তাঁরা বিভিন্ন ধরণের যৌন আচরণও করেন।
গবেষকরা পুরুষদের সবচেয়ে সাম্প্রতিক যৌন এনকাউন্টারও অধ্যয়ন করেছেন। এখানেও জানা যায়, নারীবাদী পুরুষ এবং যারা এবিষয়ে 'নিশ্চিত নয়' তাঁদের যৌন-মিলন এবং মহিলাদের উত্তেজনা বৃদ্ধির চেষ্টা, নন-ফেমিনিস্ট পুরুষদের চেয়ে অনেক বেশি।
নারীবাদী এবং যারা এই বিষয়ে 'নিশ্চিত নন' উভয় ব্যক্তিই নন-ফেমিনিস্ট ব্যক্তদের চেয়ে তাঁদের সঙ্গীর সঙ্গে বেশি ওরাল সেক্স করার কথা জানিয়েছেন। এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অনেক গবেষণায় অবিচ্ছিন্নভাবে জানা গেছে যে ওরাল সেক্স ক্লিটোরাল উদ্দীপনা সহ মহিলাদের মধ্যে প্রচণ্ড উত্তেজনা বৃদ্ধি করে।
নারীবাদী পুরুষদের এই আচরণ সম্পর্কে এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, 'নারীবাদী পুরুষরা যা বলেন, তারা আসলে তা সব সময় করেন না। আমরা প্রধানত তাঁদের জনসম্মুখে মনোভাব এবং আচরণের উপর ফোকাস করি। তবে বন্ধ দরজার পিছনে, তাঁদের বাস্তবতা কী তা সম্পর্কে আমাদের মোটামুটি ধারণা রয়েছে।"