আধসেদ্ধ মাংস খেলে প্যারালিসিস পর্যন্ত হতে পারে! কী বলছে AIIMS?

মাঝে মাঝেই পায়ে টান ধরে? পায়ের গাঁটে ব্যথা অনুভব করেন? সাবধান হন। এমন ব্যথাই ধীরে ধীরে গোটা শরীরকে প্যারালাইজড করে দিতে পারে। 

একে বলা হয় গুলেন বেরি সিনড্রোম বলা হয়। এই রোগ বিরল। খুব অল্পসংখ্যক মানুষের শরীরেই বাসা বাঁধে এটি। তবে রোগটি গুরুতর। এর ফল হতে পারে মারাত্মক। 

AIIMS, হার্ভার্ড এবং স্ট্যান্ডফোর্ডের ট্রেনিং প্রাপ্ত গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা: সৌরভ শেঠি নিজের ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে জানিয়েছেন, গুলেন বেরি সিনড্রোম সাধারণ জ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো শরীরে অজান্তেই বাসা বাঁধতে পারে। আবার আধসেদ্ধ মাংস খাওয়ার ফলেও ফুড পয়েজনিং থেকে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে। 
 

ডা: সৌরভ শেঠি বলেন, 'গুলেন বেরি সিনড্রোমের প্রাথমিক উপসর্গগুলি চিহ্নিত করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময় মতো এই রোগের চিকিৎসা শুরু না করলে, পরবর্তীতে বড় ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।'

গুলেন বেরি সিনড্রোম এমন একটি রোগ যা শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে মারাত্মক। এর ফলে হাত এবং পায়ে শিরশিরানি ভাব, যন্ত্রণা হতে থাকে। মাংসপেশীও কমজোর হতে থাকে। 

সময় মতো চিকিৎসা না করানো হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শরীরের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। 

সর্বপ্রথম পায়ের জোর কমে যেতে থাকে। সময়মতো চিকিৎসা না করানো হলে দুর্বলতা বাড়তে থাকে এবং গোটা শরীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত অর্থাৎ প্যারালাইজড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

কখনও কখনও খাবার খেতে গিয়ে গিলতে কষ্ট হয়। তখন বুঝতে হবে গলার মাংসপেশী নিয়ন্ত্রণ করার স্নায়ুগুলি এই রোগের দ্বারা প্রভাবিত হতে শুরু করেছে। 

ডা: সৌরভ শেঠি এ-ও বলেন, 'প্রস্রাব কিংবা শৌচকর্ম করতে গেলেও সমস্যা তৈরি হওয়া এই রোগের অন্যতম উপসর্গ।'

গুলেন বেরি সিনড্রোমের কারণে গোটা শরীরেই যন্ত্রণা হতে পারে। এর কারণে জ্বালা ভাব, খিচুনি হতে পারে। বিশেষত পিঠে, হাতে এবং পায়ে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে।