আমাদের দেশে এমন সব ডাকসাইটে সুন্দরীরা রয়েছেন, যারা দুনিয়া কাঁপিয়ে বেরিয়েছেন তাঁদের সৌন্দর্যে। যার সর্বশেষ সংযোজন হরনাজ সান্ধু।হরনাজ সান্ধু থেকে নিয়ে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন পর্যন্ত এই বিউটিফুল বিভাগ ভারতকে গর্বিত করেছে। বিউটি উইথ দ্য ব্রেন এর উদাহরণ দুনিয়ার সামনে পেশ করেছেন। যার মধ্যে অনেকেই এমন রয়েছেন, যারা বিগত সময়ের সঙ্গে আরও সুন্দর হয়ে উঠেছেন। তাহলে সেখানে অনেকে শিরোপা জেতার পর এত বেশি ওজন বাড়িয়ে ফেলেছেন, তাঁদের চিনতে পারাও মুশকিল হয়ে গিয়েছে। আসুন আমরা জেনে নেই মুকুট জেতার পর কোন বিশ্বসুন্দরীর চেহারা কি রকম দাঁড়িয়েছে।
হরনাজ সান্ধু এই লিস্টে সবচেয়ে প্রথম নাম। মিস ইউনিভার্স ২০২১-এ হরনাজ সান্ধু ডিসেম্বর ২০২১ এ বিশ্ব সুন্দরীর মিস ইউনিভার্সের খেতাব জিতেছেন। তার সৌন্দর্য তিনি গোটা দুনিয়াকে মাত করে দিয়ে তাবড় সুন্দরীদের কাছ থেকে শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই তার ওজন এত বাড়া শুরু করেছে, চেহারা চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। যারা মিস ইউনিভার্সকে মুকুট জেতার সময় দেখেছেন, তারপর তাকে চিনতে পারা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এখন এমন রূপে ধরা দিয়েছেন, যে তাকে দেখে চিনতে পারছেন না কেউই।
তনুশ্রী দত্তা ২০০৪ সালে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া খেতাব জিতেছেন। তনুশ্রী যখন নিজে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তখন তিনি তার নিজের সৌন্দর্যে সবাইকে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন। সব জায়গায় তখন তার চর্চা ছিল। কিন্তু শিরোপা জেতার কিছু সময় পর তনুশ্রীর ওজন অনেক বেড়ে গিয়েছে। তনুশ্রী ট্রান্সফর্মেশন দেখে সবাই অবাক হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তিনি নিজের শরীরে পরিশ্রম করে ১৮ মাসের মধ্যে ১৮ কিলো ওজন কমিয়ে ফেলেন। কিন্তু তবুও তাঁর চেহারায় অনেক পার্থক্য চলে এসেছে।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ওয়ার্ল্ড খেতাব নিজের নাম করে ফেলেছেন। প্রিয়াঙ্কা যখন এই বড়ো টাইটেল নিজের নাম করেন তখন তার বয়স ১৮ বছর ছিল। এত কম সময়ে এত বড় উপলব্ধি হাসিল করা সাফল্য কম কিছু ছিল না। যদিও মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার পর থেকে প্রিয়াঙ্কার লুকে বদল এসেছে। প্রিয়াঙ্কা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি গ্ল্যামারাস বোর্ড এবং স্টাইলিশ হয়েছেন। সময়ের সঙ্গে তার সৌন্দর্য আরও বেড়ে গিয়েছে। এখন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া একজন পরিণত সেন্সুয়াস হয়েছেন।
সুন্দরীদের মধ্যে দিয়া মির্জার নামও রয়েছে। বলিউডে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত দিয়া ২০০০ সালে মিস এশিয়া প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল এর খেতাব জিতেছিলেন। সেই সময় বয়স ছিল ১৮। দিয়ার বড় চোখ, সুন্দর স্মাইল এর জন্য তিনি সবার মঞ্জুরি নিয়েছিলেন। ট্রানসফর্মেশন এর পর দিয়ার লুকে অনেক পরিবর্তন এসেছে। যদিও তিনি অনেক বেশি কনফিডেন্ট এবং ম্যাচিওর হয়েছেন।
সময়ের সঙ্গে যেখানে কিছু লোকের সৌন্দর্য অস্তমিত হতে থাকে। সেখানে সুস্মিতা সেন সে সমস্ত বিউটিদের মধ্যে একজন যার প্রতি বছরই নতুন রূপে নিজেকে মেলে ধরেছেন। সুস্মিতা সেন ১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্স খেতাব জিতেছিলেন। সেই সময় তাঁর বয়স ১৮ বছর ছিল। তখন থেকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত সুস্মিতা নিজের লুক এবং নিজের ফিটনেসকে দুর্দান্তভাবে মেনটেন করে চলেছেন। তখন থেকে নিয়ে সুস্মিতা নিজের সৌন্দর্য এবং বুদ্ধিমত্তাকে একসঙ্গে মিশিয়ে পরিবেশন করে চলেছেন। বিশ্বের সামনে মিস ইউনিভার্স খেতাব জেতা সুস্মিতা প্রথম ভারতীয় মহিলা ছিলেন।
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মহিলাদের মধ্যে একজন বলে তাঁকে গণ্য করা হয়। ১৯৯৪ সালের মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব নিজের নাম করে নেওয়া ঐশ্বর্যাও ১৮ বছরে মিস ওয়ার্ল্ড হয়েছেন। ওয়ার্ল্ড হওয়ার পর থেকে তাঁর চেহারাও ভারী হয়েছে। ইনোসেন্ট স্টাইলিশ থেক পরিণত হয়েছেন আকর্ষণীয় ডিভাতে। আগের চেয়ে বিয়ের পরে ওজন বাড়লেও ঐশ্বর্যাকে দেখলে এখনও যাবতীয় পুরুষের হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়।
মিস ইউনিভার্স ২০০০ এর খেতাব নিজের নামে করে নিয়েছিলেন লারা দত্তা। ভারতের নাম পৃথিবীতে তুলে ধরেন তিনি। মিস ইউনিভার্স হওয়ার পর অনেক বদল এসেছে। আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি হেলদি হয়ে গিয়েছেন। যদিও তার সৌন্দর্য কোনরকম ভাটা পড়েনি। বরং তাঁর গ্ল্যামার বেড়েছে।