কোথাও কেটে গেলে রক্ত জমাট বাঁধা যেমন ভাল, তেমন কিছু ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধা অত্যন্ত খারাপ। শিরা কিংবা পেশীতে রক্ত জমাট বাঁধলে তা অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এর ফলে রক্ত প্রবাহ বাঁধা পায় এবং সেই সঙ্গে এটি একেক সময়ে গুরুতর হয়ে ওঠে। আসুন জানা যাক, শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণগুলি কী এবং কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
হাত- পা ফুলে যাওয়া
রক্ত জমাট বাঁধার একটি প্রধান লক্ষণ হল, হাত বা পা ফুলে যাওয়া। রক্তের প্রবাহ বাঁধা পেয়ে ফোলা শুরু হয়। অনেক সময়ে পা দীর্ঘক্ষণ ঝুলিয়ে বসার জন্য বা পিরিয়ড চলাকালীন পা ফুলে যায়। কিন্তু যদি সেই ফোলার সঙ্গে ব্যথা শুরু হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
অত্যাধিক ব্যথা
পা ফুলে যাওয়া, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণগুলি ছাড়াও অনেক সময়ে হাতে পায়ে, পেশীতে অত্যাধিক ব্যথা থাকে। অনেকেই এটি এড়িয়ে যান, কিন্তু সেটা কখনই উচিত না।
ত্বকের রং পরিবর্তন
আঘাত লেগে রক্ত জমাট বাঁধা স্বাভাবিক। এর ফলে ত্বকে লালচে রঙও হয়ে যায়, এবং এক্ষেত্রে চিন্তার কিছু নেই। তবে অনেক সময়ে শিরাতে রক্ত জমাট বাঁধলে, আরও বেশি লালচে হয়ে যায় এবং ছোঁয়া যায় না সেই জায়গা ব্যথায়।
বুকে ব্যথা
সাধারণত বুকে ব্যথা করলেই হৃদরোগে আক্রান্ত বলে ধরে নেন সকলে। তবে এটি পালমোনারি ইম্বোলিজমের লক্ষণও হতে পারে। এর ফলে রক্ত ফুসফুসে যেতে বাঁধা পায়। আক্রান্ত ব্যক্তির এর ফলে খুব ব্যথা হয়। সেই সঙ্গে শ্বাস নিতেও সমস্যা হয়। এই অবস্থায় তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শ্বাসকষ্ট
ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধলে অক্সিজেন পৌঁছাতে সমস্যা হয় এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। সিঁড়ি দিয়ে উঠলেই এর ফলে হাপিয়ে যান তাঁরা। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অনবরত কাশি
অনবরত কাশি, রক্ত জমাট বাঁধার একটি লক্ষণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বুকে শ্লেষ্মা জমে থাকলে এরকম সমস্যা হতে পারে। কখনও সেটি শ্লেষ্মা ছাড়া রক্তও হতে পারে। তাই বেশি দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি
শরীরে অক্সিজেনের ঘাটটি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হৃদস্পন্দনের হার বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্টও হতে পারে। এমনকি একটি ছোট আকৃতির জমাট বাঁধা রক্তও সমস্যা তৈরি করতে পারে।