হাইপারটেনশন অথবা উচ্চ রক্তচাপের মতো নিম্ন রক্তচাপ খুবই ভয়ঙ্কর হতে পারে কোন ব্যক্তির জন্যে। হাইপারটেনশন কিংবা লো ব্লাড প্রেসারের জন্যে হৃদপিণ্ড, মস্তিষ্ক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশে রক্ত প্রবাহ বাঁধা পেতে পারে।
ক্লান্তি, হালকা মাথাব্যথা, ঘুম-ঘুম ভাব, মাথা ঘোরা এবং অস্পষ্ট দৃষ্টির মতো কিছু সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে চিকিৎসক আপনাকে একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট চার্ট করে দেবেন। চিকিৎসকেরা যেই খাবারের পরামর্শ দেন, দেখে নিন সেগুলো কী কী।
স্বাস্থ্যবান খাওয়া-দাওয়া
প্রাতঃরাশ, দুপুরের এবং রাতের খাবারের মাঝে সামান্য পরিমাণ হালকা খাবার খাওয়া প্রয়োজন। নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা এড়াতে সারাদিন অল্প অল্প করে খাবার খাওয়া উচিত। সারা দিনে তিনবার খাওয়ার পরিবর্তে যদি আপনি আপনার ডায়েটের খাওয়া-দাওয়া কে পাঁচটি ছোট ভাগে ভাগ করে নেন, তাহলে এটি আপনার জন্যে বেশি উপকার। এমনকি এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যেও কার্যকরী।
নুন
অতিরিক্ত মাত্রায় নুন খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকারক, তেমন পর্যাপ্ত পরিমাণ নুন খাওয়া শরীরের জন্যে ভালো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি রিপোর্ট অনুযায়ী সারাদিনে ১ চা-চামচ নুন খাওয়া উচিত। আরও ভালো হয় যদি সবজি এবং ফল দিয়ে সেটা খাওয়া হয়। আপনি যদি প্রতিদিন ব্যায়াম করেন তাহলে লেবুর সরবতের সঙ্গে গ্রীষ্মকালে সামান্য পরিমাণ নুন খেতে পারেন। যদিও অতিরিক্ত মাত্রায় নুন উচ্চরক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
পানীয়
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সারা দিনে দুই থেকে তিন লিটার জল পান করার পরামর্শ দেন। এই পানিয়র মধ্যে নারকেল বা ডাবের জল, ম্যাংগো পান্না জাতীয় বিভিন্ন পানীয়ও থাকতে পারে। লো ব্লাড প্রেশারের খুব বড় একটা সমস্যা হল ডিহাইড্রেশন। তাই শুধু জল খেতে ভাল না লাগলে বিভিন্ন রকমের ফলের রস পান করা শরীরের উপকারী।
চা/ কফি
চা-কফি অনেক সময়ে নিম্ন রক্তচাপের সমস্যার সমাধানের সাহায্য করে। হঠাৎ করে যদি আপনার রক্তচাপ একেবারে কমে যায়, তাহলে সেই মুহূর্তে এক কাপ চা বা কফি আপনার শরীরের জন্য উপকার হবে।
তুলসি পাতা
তুলসী পাতার গুণাগুণ কারও অজানা নয়। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে ৫ থেকে ৬টা তুলসী পাতা খালি পেটে খাওয়ার জন্যে। শরীরের জন্য খুব উপকার তুলসী পাতা। এতে অধিক পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন সি আছে, যেটা শরীরের রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। এমনকি এতে বর্তমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
আমন্ড দুধ
রাতে শোয়ার আগে ৫-৬ টি আমন্ড দুধের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন। সকালবেলা সেগুলির খোসা ছাড়িয়ে এককা মিশ্রণ তৈরি করুন এবং গরম করে খেয়ে নিন। এর ফলে কোনদিনও আপনার নিম্ন রক্তচাপ হবে না। আমন্ড দুধে কোলেস্টেরল কিংবা অপ্রয়োজনীয় চর্বি নেই। বরং এতে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যে সমস্ত মানুষের লো ব্লাড প্রেসার রয়েছে তাঁদের সকলেরই এটি খাওয়া উচিত।