শীত যতই ভাল লাগুক, শীতের সকালে স্নান করতে কার আর ভাললাগে? শীতের সকালে গায়ে ঠাণ্ডা জল ঢালার অভিজ্ঞতা যে ভয়াবহ-ই হবে, তা বলাই বাহুল্য!
তাপমাত্রার পারদ নামতেই স্নান এড়িয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। বিশেষত যাঁদের ঠান্ডার ধাত রয়েছে, তাঁরা ভাবছেন স্নান করলেই আরও জাঁকিয়ে বসবে ঠান্ডা। আর যারা এমনিই স্নান করতে পছন্দ করেন না, তাঁরাও এই শীতের গুঁতোকে বেশ ভালোই কাজে লাগান।
কিন্তু প্রতিদিন স্নান না করে খুব ভুল করছেন। এতে শরীরের উপকারের থেকে অপকার অনেক বেশি। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁদের প্রতিদিন সকাল ১০টার মধ্যে স্নান সেরে নেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
যাঁদের বাতের ব্যথা রয়েছে তাঁরা সারা বছরই ইষদুষ্ণ গরম জলে স্নান করুন। আর যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁরা সহ্য করতে পারলে ঠান্ডা জলে স্নান সারুন, নইলে গরম জলেই করুন।
প্রতিদিন স্নান করলে রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে। আর ত্বক যে ভালো থাকবে তা বলাই বাহুল্য। ভালো হবে রক্তচলাচল। এমনকী অতিরিক্ত ক্যালোরিও বার্ন হবে। তাই গরমের মতোই শীতেও নিয়মিত স্নান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো। কোভিড পরিস্থিতিতে তো বটেই, এমনিতেই নিয়মিত স্নান খুব জরুরি, তা যত ঠান্ডাই হোক না কেন।
গবেষকদের মতে, শীতকালে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে স্নানের জল সামান্য উষ্ণ হলে ক্ষতি নেই। উষ্ণ জলে স্নানের ক্ষেত্রে স্নান করার সময় কমিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। তবে স্নান বন্ধ করা বা কনকনে ঠান্ডা জলে স্নান না করাই ভাল।
স্নানের সময় স্ত্রাবিং জরুরি। সাবান দিয়ে ভালো করে স্নানে একদিকে যেমন বাইরে থেকে আসা রোগের জীবাণু মরে যায়, তেমনই ত্বকের ময়লা পরিষ্কার হওয়ায় সংক্রমণের সম্ভবনা কমে। স্ক্রাবিং করলে ত্বকের ওপর জমে যাওয়া ধুলো ময়লা সরে গিয়ে রোমকূপের মুখ ফাঁকা হয়। ত্বকে থাকা ছিদ্র উন্মুক্ত হওয়ায় ত্বক ভালোভাবে শ্বাস নিতে পারে। এতে ত্বকে সংক্রমণের সম্ভবনাও কমে।
সারাদিনের কাজকর্ম, অফিস বা দীর্ঘযাত্রার পর একটা হটবাথ কিন্তু শরীর তরতাজা করে দেয়, ক্লান্তি দূর করে। উষ্ণ জলে শরীর রিল্যাক্সড লাগে। এতে রক্তসঞ্চালন ভালো হওয়ায় শরীর ভালো থাকে।