Weight Loss Tips: প্রত্যেকের জন্যই সুস্বাস্থ্য এবং সঠিক ওজন থাকাটা জরুরি। বয়স, লিঙ্গ এবং শারীরিক কাঠামো অনুযায়ী ওজন নির্ভর করে। গবেষণা জানা গিয়েছে যে, যদি কারও ওজন কন্ট্রোলে থাকে, তাহলে স্ট্রোক , হৃদয় জনিত রোগ সহ নানা রকম সমস্যা থেকে দূরে থাকে। অনেকের করোনা মহামারির সময়ে ওজন অনেক বেড়ে গিয়েছে। এখন তারা ওজন কম করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের বয়ান অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি ১২ সপ্তাহে প্রায় ৬ কিলো ওজন কম করতে পারে। কিন্তু ওজন কম করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
ব্রেকফাস্ট বাদ দেবেন না
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্রেকফাস্ট জরুরি। প্রাতঃরাশ ওজন কম করার জন্য কোনও সাহায্য করে না, কিন্তু সকালে হেলদি ব্রেকফাস্ট করলে আপনি পর্যাপ্ত পুষ্টি পেয়ে যাবেন এবং খিদেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। যদি আপনার ব্রেকফাস্টের অভ্যাস না থাকে, তাহলে আপনার পক্ষে নিউট্রিশন পাওয়া সম্ভব নয় এবং গোটা দিন আপনার খিদে পেতে থাকবে।
ফল এবং সবজি খান বেশি করে
ফল ও সবজিতে ক্যালরি, ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট কম থাকে এবং ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের দাবি অনুযায়ী পর্যাপ্ত ফল খেলে ওজন কম করা যায়। পুষ্টির জন্য ফল এবং সবজি অত্যন্ত ভাল।
সারা দিনে নিয়মিত খাবার খান
চিকিৎসকদের বক্তব্য যে, গোটা দিনে নিয়মিত ভাবে খাবার খেলে ক্যালোরি খুব দ্রুত বার্ন হয় এবং খিদেও কম লাগে। এর কারণ হল, যখন আপনি লম্বা সময় পর্যন্ত ক্ষুধার্ত থাকেন, তাহলে খিদে বাড়তে থাকে এবং আপনি অনেক বেশি খেয়ে ফেলেন। এই কারণে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকবে।
বেশি করে জল খান
ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস এর বক্তব্য অনুযায়ী অনেক সময় লোকেরা তেষ্টাকে খিদে মনে করে খাবার খাওয়া শুরু করে দেয়। এ কারণে যদি আপনার খিদে পায়, তাহলে প্রথমে জল পান করুন এবং তার পরে যদি খিদে না মেটে তাহলে কিছু হেলদি খাবার খেয়ে নিন। এতে এক্সট্রা ক্যালরি শরীরে যাওয়া থেকে বাঁচবে।
সক্রিয় থাকুন
যদি আপনি নিজের ওজন কম করতে চান, তাহলে আপনাকে একটু অ্যাক্টিভ থাকতে হবে। সকালে মর্নিং ওয়াক হোক বা সন্ধ্যায় হাঁটা অথবা একটু সাইক্লিং। এই ধরনের জিনিস শরীরকে সচল রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন ভাল রাখে। তাতে ক্যালোরি ও ফ্যাট বার্ন হয়।
জাঙ্ক ফুড খাবেন না
জাঙ্ক ফুড যত বেশি খাবেন, তত শরীরে অবাঞ্ছিত ক্যালোরি এবং ফ্যাট জমা হতে থাকবে। তাই জাঙ্কফুড একেবারেই বাদ দেওয়া ভাল। কখনও কখনও খেলেও যত কম খাওয়া যায় ততই ভাল।
ছোট প্লেটে খান
ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের বক্তব্য অনুযায়ী যদি আপনি ছোট প্লেটে খাবার খান তাহলে খিদে তাড়াতাড়ি মিটে যায় এবং আপনার খিদে কম করতেও সাহায্য করে। আসলে পেট ভরে গেছে এই বার্তা পেট থেকে মস্তিষ্কতে যেতে কুড়ি মিনিট সময় লাগে। এ কারণে ধীরে ধীরে খান এবং পেট ভরা অনুভব হলে খাওয়া বন্ধ করে দিন।
মদ্যপান করবেন না
অনেকে ডায়েটিংয়ের মাঝে মদ্যপান করেন। যা ভুল অভ্যাস। আসলে আপনি যে ক্যালোরি খাওয়া-দাওয়া কম করে অর্জন করছেন, মদ পান করে এই ক্যালোরি আবার ফিরিয়ে আনছেন শরীরে।
কোনও খাবারকে নিষিদ্ধ তালিকায় রাখবেন না
কোনও খাবারের বিষয়ে যদি আমরা চিন্তা করি, যেটা আমাদের খাওয়া বারণ বা খাব না। তাহলে শরীরকে মস্তিষ্ক, ওই খাবারের দিকেই বারবার টেনে নিয়ে যাবে। সেই কারণে মস্তিষ্ক থেকে নিষিদ্ধ খাবারের তালিকা বাতিল করতে হবে। তাই আপনার পছন্দের খাবার যদি অস্বাস্থ্যকরও হয়, তাহলে কালে ভদ্রে এক-আধ দিন খাওয়া খুব একটা খারাপ নয়।