শীতকালে গুড় খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারি বলে মনে করা হয়। ঠান্ডার মরসুমে গুড় খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে বলেই মত পুষ্টিবিদদের। এই সুপারফুড শুধুমাত্র পরিপাকতন্ত্র এবং ফার্টিলিটি উন্নত করে তাই নয়, হাড়কেও শক্তিশালী করে। চিনি মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে, তাই গুড়কে এর ভালো বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে ভিটামিন-বি-সহ ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, কপার ও ফসফরাসের মতো অনেক ধরনের খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। আপনি কি জানেন গুড়ের সাথে কিছু বিশেষ জিনিসের মিশ্রণ এর উপকারিতা দ্বিগুণ করে দিতে পারে।
গুড়ের সঙ্গে ঘি- খাঁটি ঘি দিয়ে গুড় খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। খাবারের পর এক চামচ গুড় এবং ঘি খেলে আমাদের হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
গুড়ের সাথে ধনে বীজ- পুষ্টিবিদদের মতে, ধনে বীজের সাথে গুড় খেলে পিরিয়ডের সময় রক্তপাত ও ব্যথা উপশম হয়। এছাড়া গুড় ও ধনের এই কম্বিনেশন পিরিয়ড স্টার্ট করতে সহায়ক। এটি PCOD-তেও মহিলাদের জন্যও ভাল বলে বিবেচিত হয়।
গুড়ের সাথে মৌরি বীজ- যাদের নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হয় তাদের জন্য গুড় ও মৌরির মিশ্রণ খুবই ভালো। এই মিশ্রণটি আমাদের মুখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি।
গুড় ও মেথি বীজ- গুড়ের সঙ্গে মেথির বীজ খাওয়া আমাদের চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। এতে আমাদের চুল মজবুত ও চকচকে হয়। এই সংমিশ্রণ চুলের অকাল পক্কতা হতে দেয় না।
গুড় এবং মিছরি: গুড় এবং মিছরির মিশ্রণ স্তন্যপান করানো মহিলাদের জন্য ভাল বলে মনে করা হয়। এটি স্তন্যদানকারী মহিলাদের এজেন্ট হিসাবে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, গুড় ও মিছরি খেলে আমাদের হাড়ও মজবুত হয়।
গুড় এবং মিছরি: গুড় এবং মিছরির মিশ্রণ স্তন্যপান করানো মহিলাদের জন্য ভাল বলে মনে করা হয়। এটি স্তন্যদানকারী মহিলাদের এজেন্ট হিসাবে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, গুড় ও মিছরি খেলে আমাদের হাড়ও মজবুত হয়।
গুড়ের সাথে তিল- গুড়ের সাথে তিল বা তিলের বীজ খেলে সর্দি, কাশি এবং জ্বরের মতো সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। করোনার মতো ভয়াবহ মহামারীর সময়ে এ ধরনের রোগ থেকে বাঁচার গুরুত্ব আমরা সবাই বুঝেছি।
গুড়ের সাথে চিনাবাদাম- গুড়ের সাথে চিনাবাদামের ডেডলি সংমিশ্রণ শুধুমাত্র স্বাদেই নয়, শক্তিও উন্নত করে। খিদে নিবারণেও এটি খুবই কার্যকরী।
গুড়ের সঙ্গে হলুদ- গুড়ের সঙ্গে হলুদ খেলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। শুধু তাই নয়, এই কম্বিনেশন শীতে রোগ থেকে রক্ষা করতেও কাজ করে।