বিয়ের পরে পার্টনারের সঙ্গে গোলমাল, ঝগড়াঝাঁটি সাধারণ ব্যাপার। দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকতে থাকতে একটু খটাখটি লেগেই যায়। কিন্তু অনেকবার এমন হয় যে এই বিষয়টি বারবার হতে থাকে এবং তা নিয়ে আমাদের সম্পর্ক শেষ করে দেওয়াটাই সবচেয়ে ভাল বিকল্প বলে মনে হয়। তারপরই দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এক ঝটকায় ভেঙে যায়। আসুন আমরা জেনে নিই যে সম্পর্কের আট সমস্যা যা সমাধান বের করা প্রায় অসম্ভব।
১. একজন আরেকজনের ওপর টিপ্পনি করা যদি আপনার দুজন একজন আরেকজনের ওপর টিকা টিপ্পনি করেন কমেন্ট করতে থাকেন বা একজন আরেকজনের উপর খারাপ জোকস করতে থাকেন এবং কথায় কথায় ঝগড়া করার পরিস্থিতিতে চলে আসেন, তাহলে তা সম্পর্কের জন্য খুব খারাপ সংকেত এছাড়া স্ত্রীর বাপের বাড়ি যদি আপনি নীচু করে দেখান। তাহলে তার বিয়ে ভাঙতে পারে।
২. যদি আপনার পার্টনার আপনাকে বে-মতলব ঝগড়া করে তর্ক করে এবং তার স্বভাবই যদি এ রকম হয়, তাহলে সব সময় বাড়িতে একটা অস্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়ে থাকে। যা মানসিক শান্তি বিঘ্নিত করে এবং সেটি ডিভোর্স পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
৩. মিথ্যা প্রতিশ্রুতি এবং প্রতারণা করার অভ্যাস যদি থাকে, তাহলে স্বামী হোক কিংবা স্ত্রী, একজন তখন আরেক জনের থেকে দূরত্ব তৈরি করে নেন।
৪. যদি স্বামী আপনার সঙ্গে কোনও রকম কথা লুকোনো শুরু করে, তাহলে স্ত্রীর সমস্যা হয়। একই অভ্যাস যদি স্ত্রীরও থাকে, তাহলে স্বামীও সমস্যায় পড়ে যান। তার ফল কী হতে পারে সহজেই অনুমেয়...
৫. শারীরিক সম্পর্কে যে কোনও এক পার্টনারের লাগাতার অনিচ্ছা বেশিরভাগ সময়েই সম্পর্ক ভেঙে দেয়। শারীরিক চাহিদাও মানুষের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক চাহিদা। যা ডিভোর্সে গড়াতে পারে।
৬. যদি লাখ চেষ্টা করা সত্বেও সম্পর্কে উষ্ণতার ঘাটতি দেখা দেয়, তাহলে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না বলে মনে করে নিতে হবে। এবং তা ধীরে ধীরে সম্পর্কচ্যুতির দিকে এগোয়।
৭. যদি আপনার পার্টনার সম্পন্ন হবে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে তাহলে সেই সম্পর্ক টিকতে পারে না। পার্টনার যদি নিজের কথা ভাবে, শুধু নিজের সুখ স্বাচ্ছন্দের জন্য অন্য পার্টনারকে ব্যবহার করার চেষ্টা করে, তাহলে দেখা গিয়েছে, ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই সম্পর্ক ভেঙে যায়।
৮. যদি সম্পর্কে মন খুলে কথা বলা অধিকার না থাকে, পার্টনারের ইচ্ছা-অনিচ্ছা অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, কখনও মেনে নিলেও লাগাতার তা ঘটতে থাকলে সেই সম্পর্ক খারাপ পরিণতির দিকে এগোয়।