গ্রীষ্মকালে প্রখর তাপের মধ্যেও যদি কোনও জিনিস আমজনতাকে স্বস্তি দেয় তা হল আম। ৫০০০ বছর পুরানো এই ফলের রস এবং স্বাদে মজে আসমুদ্র হিমাচল। তবে এর স্বাদের ঠিকানা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও বিশেষ সমাদৃত। প্রতি বছর এ দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে আম বিদেশে রফতানি করা হয়। শুধু স্বাদ নয়, আমের গুণ কিন্তু এই ফলকে খাস বানিয়েছে। দেখে নিন এই রসাল ফলের অসাধারণ কিছু গুণাবলী।
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের যোগান দেয় আম। এজন্যই আম অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার বিরুদ্ধে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে থাকে ভিটিমিন K, যা রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দূর করার সঙ্গে সঙ্গে হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
আমে আছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন C, পেকটিন ও ফাইবার। এই উপাদানগুলি রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া পটাশিয়াম হৃদপিন্ডের স্পন্দন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সহায়ক।
ক্যুয়েরসেটিন, আইসোক্যুয়েরসেটিন, অ্যসট্রাগালিন, ফিসেটিন, গ্যালিক এসিড ও মিথাইলগ্যালেট সম্বৃদ্ধ অ্যান্টিআক্সিডেন্ট থাকার কারণে আম ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম। বিশেষত কোলন ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার, লিউকেমিয়া ও প্রস্টেট ক্যানসারের বিরুদ্ধে আম ভীষণ কার্যকর।
আম শরীরের কার্ডিও ভাসকুলার সিস্টেম ভালো রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম যা হার্ট ভালো রাখে। আমে থাকে ম্যাঙ্গিফেরিন, তা ইনফ্লামেশন থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A রয়েছে যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। পুরুষদের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা ও সেক্স হরমোন বৃদ্ধির জন্য আম কে লাভ ফ্রুট হিসেবেও আখ্যা দেওয়া হয়। ত্বক ভালো রাখতে সহায়ক আম।
বিভিন্ন উপকারি ভিটামিন ও অন্যান্য পূষ্টিগুণ সমৃদ্ধ আম ওজন কমাতেও সাহায্য করে। আমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় অতিরিক্ত ক্যালোরি বার্ন করে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আমের খোসাও ওজন কমাতে সাহায্য করে। শরীরে ফ্যাটি টিস্যু কমায়। আমের মতোই এতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে।