হস্তমৈথুন বা স্বমেহন একটা জৈবিক প্রক্রিয়া। মানুষ যখন যৌনতা উপভোগ করার জন্য একান্তে যৌন চাহিদা পূরণের জন্য স্বতস্ফূর্ত ও স্বাভাবিক রাখার সাহায্য করে, তখন হস্তমৈথুনের প্রয়োজন পড়ে।
হস্তমৈথুন বা স্বমেহন একটি অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং স্বতঃপ্রণোদিত যৌন প্রক্রিয়া। আমরা যখন কামুকতায় পূর্ণ হয়ে উঠি, তখন শরীরে অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়।
অক্সিটোসিন হরমোন মানসিক চাপ কমাতেও সহায়ক। শুধু পুরুষরাই নয়, মহিলারাও একান্তে যৌন চাহিদা পূরণের জন্য স্বতস্ফূর্ত ও স্বাভাবিক রাখার জন্য হস্তমৈথুন করে থাকেন।
মহিলাদের হস্তমৈথুন নিয়ে করা একটি সমীক্ষায় ২০০৬ সালে মোট ২,৬০০ জন মহিলার মধ্যে হস্তমৈথুন নিয়ে গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহ করে। ওই সমীক্ষায় জানা যায়, ২,৬০০ জন মহিলার প্রায় ৩৯ শতাংশই বলেছেন যে, তাঁরা হস্তমৈথুনের পর মানসিক ভাবে স্বস্তি পান।
একাধিক গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে, হস্তমৈথুন ত্বকের নানা সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। যেমন, নিয়মিত ও নিয়ন্ত্রিত হস্তমৈথুনে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
একাধিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, নিয়মিত ও নিয়ন্ত্রিত হস্তমৈথুনে স্নায়ু সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে এবং চেহারায় বার্ধক্যজনিত ছাপ পড়তে সময় লাগে। তবে হস্তমৈথুনের কতগুলি ঝুঁকিও রয়েছে।
অতিরিক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত হস্তমৈথুনে মানসিক চাপ কমার পরিবর্তে বেড়ে যেতে পারে! বাড়তে পারে শারীরিক ক্লান্তি বোধ। পাশাপাশি, শরীরের একাধিক পেশিতে টান পড়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।