Offbeat Destination: কর্মব্যস্ততার একঘেয়েমি কাটানোর আদর্শ উইকেন্ড ডেস্টিনেশন রোহিণী। টুক করে ঘুরে আসুন।
আরও পড়ুন: দশম-দ্বাদশ পাশেই নৌসেনায় চাকরি, ৪৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন
শহরের একঘেয়েমি জীবনের রোজনামচা থেকে বেরিয়ে কিছুটা সময় প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝে নিস্তব্ধে কাটাতে চাইছেন? ভাবছেন শহরের কাছে পিঠে রবিবারে কয়েকঘন্টা পরিবার নিয়ে কাটাতে। তবে এই রবিবার আপনার গন্তব্য হতেই পারে রোহিণী পার্ক এবং রোহিণী মাতার মন্দির।
আরও পড়ুন: ক্লাস টুয়েলভের বোর্ড পরীক্ষায় গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে প্রশ্ন, ক্ষমা চাইল সিবিএসই
তাই সময় নষ্ট না করে শিলিগুড়ি থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পর্যটন কেন্দ্রে দেখে আসুন পাহাড়ের প্রকৃতির সৌন্দর্যকে।
আরও পড়ুন: নলেন গুড়-ছানার প্রেমে তৈরি মাখা সন্দেশে মজে বাঙালি
কর্মব্যস্ত জীবনে মানুষের রুটিনে ছুটি বলতে শুধু রবিবার। তাই সারা সপ্তাহ ব্যস্ততার মাঝে থেকে এই একটা দিন পরিবারকে নিয়ে কিছুটা সময় কাটাতে চান অনেকে। অনেকেই সন্ধানে থাকে শহরের আশেপাশে খুব একটা দূরে না গিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে এবং কিছুটা মানসিক বিশ্রাম নিতে। তাই যাঁরা এই ধরনের উইকেন্ড ডেস্টিনেশন খোঁজে আছেন, তাঁদের জন্য আদর্শ হতে পারে কার্শিয়াং মহকুমার রোহিণী মন্দির এবং রোহিণী পার্ক।
আরও পড়ুন: Monalisa ফ্লোরাল শর্ট ড্রেসে জলের ধারে আবেদনের ঢেউ তুলেছেন, দেখুন
তবে পার্কটি এখনও তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে সেখানে এই মুহূর্তে তেমন বিনোদনের রসদ না থাকলেও রয়েছে পাহাড়ের প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের রূপ।
আরও পড়ুন: বক্সায় রয়্যাল বেঙ্গলের দেখা, নিরাপত্তার জন্য বন্ধ থাকছে জাঙ্গল সাফারি
বেশ কয়েকবছর আগে এই পার্কটিকে জিটিএ (GTA) এর তরফে তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কাজও শুরু হয় তবে মাঝ পথে বন্ধ হয়ে যায় কাজ। পর্যটকদের কাছে পার্কের আকর্ষণ বাড়াতে তৈরি করা হয়েছে বিশাল একটি লেক।
তার চারপাশে রয়েছে পাহাড়ের ঢাল বয়ে চা বাগান। এবং এই লেকের ধারে তৈরি করা হয়েছে বসার ছোটো ছোটো কটেজ। শুধু তাই নয় এখানে দাঁড়িয়ে চোখ মিললে চাক্ষুস করা যাবে পাহাড়ের মনোরম প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যকে।
আবহাওয়ার মুখ ভার না করলে লেকের জলে চোখের সামনে ভেসে উঠবে সম্পূর্ণ পাহাড়ের সৌন্দর্য। বর্তমানে পার্কের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় রোপওয়ের কাজ শুরু হয়েও থমকে যায়। নির্মানের কাজ সম্পূর্ণ হলে রোপওয়েতে বসে দেখা যাবে সম্পূর্ণ রোহিণী এলাকা, মন্দির ও পার্কটিকে। ফলে এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
অন্যদিকে, এই পার্কটির থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে বহু পুরনো রোহিণী মাতা মন্দির। সেখানেও কিছুটা সময় কাটাতে পারেন। মন্দিরে প্রবেশ পথে রয়েছে বহু পুরনো একটি বট ও অশ্বত্থ গাছ।
যার চারপাশে নেমেছে প্রচুর ঝুরি। মন্দিরে ঢোকার মুখে রয়েছে একটি পুকুর। এরপর কিছুটা হেঁটে উপরের দিকে উঠলে দর্শন হবে রোহিণী মার। মন্দিরে ভেতর প্রতিমা বলতে রয়েছে একটি বিশাল আকৃতির পাথর। সেই পাথরকেই রোহিণী মা বলে পুজো করে স্থানীয়রা। তাদের বিশ্বাস এখানে যা চাওয়া হয় তাই নাকি পূরণ করেন মা।
ভাল হয় সকালের দিকে গেলে। কারন তখন মন্দির খোলা থাকে। বর্তমানে মন্দিরটির জনপ্রিয়তা বাড়ায় রবিবার পর্যটকদের ভিড় থাকে। বেশকিছু বাংলা সিনেমার শুটিং হয়েছে এই মন্দিরে। সব মিলিয়ে রবিবার সারাদিন কাটানোর একটা ঠিকানা হতেই পারে রোহিণী।
কীভাবে যাবেন?
দুই কিংবা চার চাকা গাড়িতে গেলে শিলিগুড়ি থেকে ৫৫ নং জাতীয় সড়ক ধরে শুকনা মোড়ে গিয়ে বামদিকে মিরিকের রাস্তা ধরতে হবে। এরপর শিমুলবাড়ি পার করেই ডানদিকে বাঁক নিয়ে কার্শিয়াংয়ের রাস্তা ধরে কিছুটা গেলে পড়বে টোল গেট। গেট পরিয়ে মাত্র কয়েক কিলোমিটার গেলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে রোহিণী। এছাড়াও বসেও যাওয়া যায়।