পরিবর্তিত আবহাওয়ায় পারভো ভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। পশু চিকিৎসকদের মতে, যে কুকুরগুলিকে জন্মের দেড় মাস এবং দেড় মাস পর পরভোর টিকা দেওয়া হয় তাদের এই রোগ হয় না। এর সাথে আড়াই মাসে একটি বুস্টার ডোজ প্রয়োগ করা হয়।
যে সব কুকুরকে পারভো ভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে, তারা এই ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু যাদের এই ভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়নি, সে সমস্ত কুকুরে এই ভাইরাস দ্রুত আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুর ঝুঁকি থেকেই যায়।
পারভো ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কুকুরের রক্ত আমাশা বা রক্ত ডায়রিয়া হয়। এর ফলে কুকুরের মলের সঙ্গে খুব রক্ত পড়ে। শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্ত বেড়িয়ে যাওয়ার ফলে দুর্বল হয়ে পড়ে এদের শরীর।
রক্ত আমাশার সঙ্গেই পারভো ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কুকুরের মারাত্মক জ্বর হয়। সংক্রমণের পর তাই ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই আক্রান্তের মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। কিন্তু এই ভাইরাসের এখনও কোনও সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই।
সংক্রমিত কুকুরের সংস্পর্শে এলে বা তার মল, মূত্রের সংস্পর্শে এলে সুস্থ কুকুরের মধ্যেও পারভো ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু কুকুরের থেকে মানুষের মধ্যে পারভো ভাইরাস (Parvovirus) সংক্রমণের ঝুঁকি কতটা?
এখনও পর্যন্ত এমন কোনও ঘটনা সামনে আসেনি যার থেকে প্রমাণিত হয় যে, পারভো ভাইরাস (Parvovirus) কুকুর থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে বা হতে পারে।