আলুর সবচেয়ে বড় গুন হলো এটি সব সবজির সঙ্গে মিলে যায়। বাচ্চা থেকে বড় সবাই এটি খেতে পছন্দ করে। আলুর চিপস বলুন কিংবা আলু ভাজা, আলুর দম অথবা মাছ, মাংস, ডিম। সবটার সঙ্গেই আলুর সহাবস্থানে কোনও রকম বিরোধ নেই।
সাধারণভাবে মোটা হওয়ার ভয়ে আলু খেতে অনেকে ভয় পান বা অনেকে কম খাওয়ার কথা বলেন। আলুতে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় স্টার্চ পাওয়া যায়। আলু ক্ষারীয় প্রকৃতির। আলুতে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত মাত্রায় পাওয়া যায়।
আলু রান্না করার সময় আমরা সাধারণত আগেই কাঁচা অবস্থায় খোসা ছাড়িয়ে ফেলি। খোসা ছাড়িয়েই আলু সাধারণত রান্না করা হয়। কিন্তু আলুর খোসা ছাড়িয়ে ফেললে আলুর গুণ কমে যায়।
আলু খোসা সমেত রান্না করলে এটি অত্যন্ত ফায়দা যুক্ত হয়। এর কারণ হলো যে আলুর বেশিরভাগ পৌষ্টিক তত্ত্ব খোসাতে ঠিক নীচে থেকে যায়। ফলে মোটা করে খোসা বের করলে সব তত্ত্ব বেরিয়ে যায়। আলুতে পর্যাপ্ত মাত্রায় প্রোটিন এবং খনিজ পাওয়া যায়।
আলু খাওয়া শরীর স্বাস্থ্যের পক্ষে কখনই ক্ষতিকর নয়। পর্যাপ্ত মাত্রায় আলু খেলে শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর হয়ে যেতে পারে। তবে সঠিকভাবে তা খেতে হবে। আলুর পাঁচটি গুরুতর ফায়দা রয়েছে।
প্রথমত আলুর ব্যবহার চোট অথবা জখমের মলম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেখানে কালশিটে পড়ে যায়, তার উপর আলু থেতো করে লাগিয়ে দিলে তা অত্যন্ত ফায়দা যুক্ত হয় এবং এই কালশিটে ভাব থাকে না।
মুখের বলিরেখা দূর করতে আলু অত্যন্ত দারুণ কাজ করে। যেখানে যেখানে বলিরেখা হয়েছে সেখানে আলু থেতো করে লাগিয়ে দিলে ধীরে ধীরে বলিরেখা মিলিয়ে যায়।
বিভিন্ন প্রকারের চামড়া সম্পর্কিত কাজে আলুর ব্যবহার অত্যন্ত ভালো। মুখের সংক্রমণ দূর করতে আলুর রস ব্যবহার করা অত্যন্ত লাভ দায়ক। নিয়মিত আলুর রস মাখলে ত্বক জেল্লা দেয়।
আলু খেতে ভালবাসেন অনেকেই। কিন্তু আলুর ভুনা খান কী! শরীরের জন্য অত্যন্ত ভালো। এটি নিয়মিত খেলে যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্রনিক সমস্যা আছে, তাঁরা আরাম পান। সমস্যা অনেক কম থাকে।