scorecardresearch
 
Advertisement
লাইফস্টাইল

সম্পূর্ণ বিলুপ্ত মেক্সিকান টাকিলা মাছকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে দিয়ে চমক বিজ্ঞানীদের

টাকিলা স্প্লিটফিন
  • 1/8

কোনও এক সময়ের কথা। যখন মেক্সিকোর নদীতে একটা ছোট মাছ সাঁতার কেটে বেড়াতো। কিন্তু এই মাছ বিগত শতাব্দীর ৯০ এর দশকে মধ্যে একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় এই প্রজাতির সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। এরপর বৈজ্ঞানিকরা নিজেদের গবেষণা শুরু করে দেন। চমৎকার ঘটিয়ে ফেলেন। এই ছোট্ট মিষ্টি মাছটিকে তাঁরা গবেষণাগারে জন্ম দেন। এটিকে বাঁচানোর উদ্দেশ্য হলো, ওই মাছের প্রজাতি কে ফের পৃথিবীর আলো দেখানো। আসুন জেনে নিই মাছের শেষ হয়ে ফের ফিরে আসার কাহিনী।

টাকিলা স্প্লিটফিন
  • 2/8

পশ্চিম মেক্সিকোর নদীতে সাঁতার কেটে বেড়ানোই ছোট মাছের নাম টাকিলা স্প্লিটফিন। বিজ্ঞানীরা শুধু এই মাছটিকে জীবিত করার জন্য গবেষণা করেছেন তা নয়, পাশাপাশি স্থানীয় মানুষদের এই মাছটিকে জীবিত রাখার জন্য সচেতনতা প্রচার করেন। এ জাতি মাছের প্রজাতি ফের শেষ না হয়ে যায় এই কাজের জন্য সামুদায়িক ভাবে বৈজ্ঞানিকদের সাহায্য করেছেন স্থানীয়রা।

টাকিলা স্প্লিটফিন
  • 3/8

এই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া মাছটা বাঁচাতে গিয়ে দুই দশকের বেশি গবেষণা করতে হয়েছে। গল্প শুরু হয়েছে মেক্সিকোর আগ্নেয়গিরির পাশে টিউচিটল্যান্ডস্থিত এলাকাতে। এখানে কিছু স্টুডেন্ট এক হাত আকারের এই মাছটিকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে। এটি স্থানীয় জলাশয়, নদী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছিল। দূষণ এবং মানুষের গতিবিধি বেড়ে যাওয়াতে এই মাছটির পাশাপাশি অন্য প্রজাতির মাছ বেড়ে যাওয়াতে এই মাছটিকে খেয়ে ফেলে।

Advertisement
টাকিলা স্প্লিটফিন
  • 4/8

এই ছাত্রদের মধ্যে ওমর ডোমিঙ্গোজ নামে একজন ছিলেন, যিনি ৪৭ বছর বয়সী। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ মেক্সিকো-এর সাইন্টিস্ট এবং প্রধান কর্তা। ওমর জানিয়েছেন যে, তাদের পূর্বপুরুষেরা এবং বাড়ির বড়রা মাছটিকে অর্থাৎ ছোট মোরগ বলে ডাকত। কারণ এটির লেজ গেরুয়া রঙের ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে যখন মাছটি বিলুপ্ত হতে চলে যায়, আমরা নিজেরাই মাছের ক্রমহ্রাসমান সংখ্যা দেখতে পাই।

টাকিলা স্প্লিটফিন
  • 5/8

১৯৯৮ সালে ইংল্যান্ডের চেস্টার চিড়িয়াখানায় আরও অন্যান্য ইউরোপীয় বৈজ্ঞানিকদের সঙ্গে পরিবেশবিদরা যখন মেক্সিকোতে আসেন। তখন তারা ওমরের সঙ্গে অন্য স্টুডেন্টদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের বক্তব্য শোনেন। তারা ঠিক করেন যে এই মাছটিকে তারা বাঁচাবেন। নদী, পুকুর এবং জলাশয় থেকে টাকিলা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু চিন্তায় ফেলেছে প্রজাতির বাঁচাতে গিয়ে প্রজনন জরুরি। প্রজননের জন্য মাছ পাওয়া যাবে কিনা।

টাকিলা স্প্লিটফিন
  • 6/8

তারা এমন লোকের খোঁজ শুরু করেন যার মেক্সিকোরতে এই ধরনের মাছের কোনও প্রজাতি একুরিয়ামে কেউ রেখেছেন কি না। তারা ওই মাছটিকে বিলুপ্ত প্রজাতি বলে জানান এবং মানুষেরা বিজ্ঞানীদের সাহায্য করতে বেশ কিছু মাছ এনে তাদের দেন। এই মাছ একুরিয়ামে রেখে তাদের প্রজনন শুরু করেন বৈজ্ঞানিকরা। কিছু বছরের মধ্যে এত মাছ জমে যায় যে, ওমর কিছু মাছকে স্থানীয় নদীতে ছেড়ে দেন। ওমর জানিয়েছেন যে মানুষেরা জানিয়েছে নদীতে ছাড়া মাছ ফের নতুন করে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। মরে যাবে এবং দূষণের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে না। এ কারণে আমরা প্রথমে এটিকে একটি বড় জলাশয় ছেড়ে দিই। ২০১২ থেকে ৪৯ জোড়া মাছ রাখি। দু'বছর পরে দশ হাজার মাছ হয়ে যায়। এই কাজের জন্য চেষ্টার চিড়িয়াখানা এবং ইউরোপ আমেরিকা সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আসে যাতে মাছের প্রজননের কাজ না আটকায়।

টাকিলা স্প্লিটফিন
  • 7/8

তাকিলা স্প্লিটফিন মাছ বাঁচানোর জন্য ওমর এবং তার বাকি পাঁচ বন্ধু প্যারাসাইট এর স্টাডি করেন। মাছ বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। শিকারীদের ব্যাপারে তারা জানেন, যে কারা এই ধরনের মাছ খায় এবং কোন প্রাণীর খাদ্য হিসেবে মাছ বিলুপ্ত হতে চলে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে একই ধরনের পরিস্থিতিতে তাদের বাঁচিয়ে রাখা যায় সেই বিষয়ে তারা পড়াশোনা শুরু করেন দীর্ঘদিন ধরে চলে।

 

Advertisement
টাকিলা স্প্লিটফিন
  • 8/8

ওমর জানিয়েছেন যে টাকিলা splitfinn বাঁচানোর জন্য আমরা মানুষের মধ্যে পুতুলনাচের শো করে সেখানে গেম শো খেলানো হয়, এবং তাদের এ সমস্ত কিছুর মধ্য দিয়ে মাছগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার বিষয়ে বার্তা দেওয়া হয়। আমরা এটা জানাই যে এই মাছ ডেঙ্গু ছড়াতে বাধা দেয়। মাছের লার্ভা খেয়ে ফেলে, এই মাছ মারতে দিলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি তাদের সরাসরি বেশকিছু রোগ থেকে বাঁচানো যাবে। কিছু স্থানীয় লোককে নিয়ে এই মাছ মাছ বাঁচানোর টিম তৈরি হয়। যার নাম দেওয়া হয় জুগি। তারা বাচ্চাদের মধ্যে মাছ ধরা থেকে আটকানোর জন্য বিভিন্ন রকম সচেতনতা প্রচার চালিয়ে যান। যার ফল ধীরে ধীরে ফলতে থাকে।

Advertisement