করোনা হলেই জ্বর,কাশি, গায়ে ব্যথা হবে, এতদিন চেনা উপসর্গের মধ্যে ছিল এই লক্ষণগুলো। কিন্তু এবার কোভিড যেমন বদলেছে নিজের চরিত্র, তেমন উপসর্গেও এসেছে অনেকটাই বদল। এইমস হাসপাতালের পালমোনারি মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক প্রফেসর বিজয় হুডা এমনই কিছু তথ্য ভাগ করে নিয়েছেন সকলের সঙ্গে।
করোনার প্রথম পর্যায়ে জ্বর, গলা ব্যথা, বায়ে ব্যথা, ক্লান্তি এইগুলোই ছিল স্বাভাবিক উপসর্গ। যদিও এবারে বেশ কিছু নতুন উপসর্গ যুক্ত হয়েছে। রোগীদের ডায়রিয়া, তলপেটে ব্যথা, শরীর ভেঙে পড়া, বমি, হার্ট অ্যাটাকের মতো লক্ষণ ও দেখা গিয়েছে।
চিকিৎসকের কথায় অনেক ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টও থাকছে। তবে তা ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে কমেও যাচ্ছে। যদিও জ্বর থাকছে টানা ১০ দিন।
ডাঃ হুডা এও বলেন, করোনার কিন্তু নির্দিষ্ট উপসর্গ নেই কিছু। অনেক ক্ষেত্রেই নতুন নতুন উপসর্গ নিয়ে রোগীরা আসছেন চিকিৎসা করাতে। তখন সেগুলিকেও ধরা নেওয়া হচ্ছে লক্ষণের তালিকায়।
এমনকী শুনতে অবাক লাগলেও করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে চোখের সমস্যা বিশেষত চোখ লাল হয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। সাধারণত যা কনজাঙ্কটিভাইটিস নামে পরিচিত।
চেনা উপসর্গ ধরা পড়লেই এখন করোনা পরীক্ষার কথা জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখে বোঝার উপায় নেই। ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
নীতি আয়োগের সদস্য ডাঃ ভি কে পল জানিয়েছেন মাথা ব্যথা হলেও তা 'মাথা ব্যথা'র কারণ হওয়া উচিত অন্তত এই করোনা আবহে। কারণ কোন উপসর্গ করোনা , আর কোনটি নয় তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বাদ, গন্ধ চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে বলে অ্যানোসমিয়া। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ পর স্বাদ-গন্ধ ফিরছে।
প্রাথমিক ক্ষেত্রে গলা ব্যথাও থাকছে জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে। বিশ্বের ৫২ শতাংশ মানুষের করোনা উপসর্গে এটি রয়েছে। জল কিংবা খাবার খেলেও গলা ব্যথা থাকছে।