গরম এর ছুটি সামনেই। দীর্ঘ এক মাস সঙ্গে এরা যে আরও বাড়তি ১৫ দিন। ফলে অঢেল সময় এই গোটা গরমের ছুটি কী রাজ্যের হাঁসফাঁস গরমে কাটিয়ে দেবেন, তা কেন হবে? এমন অনেক জায়গা রয়েছে সস্তায় দিব্যি ঘুরে আসা যায় ৫০০০ টাকার মধ্যে দুর্দান্ত সব ডেস্টিনেশন রয়েছে। যেখানে সামান্য হাতখরচের পয়সাতেই ঘুরে আসতে পারবেন এমন কিছু জায়গার হদিশ আপনাকে আজকে আমরা দেব।
ল্যান্সডাউন
ল্যান্সডাউন উত্তরাখণ্ডের একটি দুর্দান্ত সুন্দর হিল স্টেশন। এ রাজ্যের দার্জিলিং-কালিম্পং এর মতোই তার সৌন্দর্য। এই জায়গা সেই সমস্ত লোকেদের একদম পারফেক্ট, যারা শহরের ভিড়ভাট্টা একদম পছন্দ করেন না, দু'চারদিন নিরিবিলিতে কাটিয়ে আসতে পারলে নিজেদের ধন্য বলে মনে করেন। এই দুর্দান্ত হিল স্টেশন থেকে কেদারনাথ এবং চৌখাম্বা উঁচু পর্বত এর দৃশ্য দেখা যায়। আপনি ৫ হাজার টাকার মধ্যে এবং ট্রেকিং এর আনন্দ নিতে পারবেন এই জায়গায়।
ঋষিকেশ
ঋষিকেশ ভারতের যোগা ক্যাপিটাল হিসেবে বিখ্যাত। delhi-ncr এর বাসিন্দাদের জন্য এটি অত্যন্ত দারুন জায়গা, তাহলে এমন নয় যে দেশের অন্য জায়গা থেকে নিয়ে যেতে পারবেন না। রাজধানী দিল্লিতে যাওয়ার ট্রেন, বাস, বিমান রয়েছে। হোটেলে, লজ রয়েছে অনেকের। ফলে দিল্লি কীভাবে যাবেন সেটা আর বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। শান্ত বাতাবরণ এবং প্রকৃতির কয়েকদিন কাটানোর জন্য ঋষিকেশ অত্যন্ত ভালো জায়গা। এখানে লোকজন রয়েছে। ভিড়ভাট্টা রয়েছে। কিন্তু কোনওটাই উত্তেজক কোলাহলে পৌঁছে যায় না। ঋষিকেশে আপনি ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকার মধ্যে আরামে ক্যাম্পিং করে থাকতে পারবেন। যার মধ্যে ব্রেকফাস্ট ডিনার শামিল থাকে। আপনি কেবল ৫ হাজার টাকায় বাঞ্জি জাম্পিং, ক্যাম্পিং, ট্রেকিং এবং রিভার রাফটিং এর মতন অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের মজা নিতে পারবেন।
মুসৌরি
যদি কম সময়ে এবং কম বাজেটে কোনও ভালো জায়গা ঘুরতে চান, তাহলে মুসৌরি একটা দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে। এমনকী এ রাজ্যের বহু জায়গার চাইতে কম খরচে আপনি মুসৌরি ঘুরে আসতে পারবেন। দেরাদুন থেকে ৩৪ কিলোমিটার। আগে এখানে থাকার জন্য ৭০০-৮০০ টাকায় সুন্দর সমস্ত হোটেল লজ পাওয়া যায় ৫০০০ টাকা খরচ করলে আপনি এখানে উদ্দীপন কনা তরল এবং ধন উল্টি মতো দুর্দান্ত জায়গাতে ঘুরে আসতে পারবেন। গরমে মুসৌরির আবহাওয়া অত্যন্ত আরামদায়ক থাকে না। গরম না ঠান্ডা আবহাওয়ায় ফুরফুরে হাওয়া আপনার মন প্রাণ সতেজ করে দেবে।
নিমরানা
নিমরানা রাজস্থানের আলোঘর জেলার একটা প্রাচীন শহর যদি আপনি ঐতিহাসিক ইমারত এবং সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের ইতিহাসকে আত্মস্থ করতে চান এবং ভালোবাসেন তাহলে নিমরানা আপনার জন্য অত্যন্ত ভালো ডেস্টিনেশন হতে পারে। দিল্লি থেকে এই জায়গাটি মাত্র ১২০ কিলোমিটার দূরে আপনি শুধুমাত্র গাড়ি অথবা ট্রেনের মাধ্যমে নিমরানা পৌঁছে যান। মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এখানে ঘুরতে আসার খুব ভালো সময় হলেও আপনি সারা বছরই যেতে পারেন নিমরানায়।
নারকান্ডা
হিমাচল প্রদেশের নারকান্ডা টুরিস্ট এর জন্য বাকেট লিস্টে শামিল একটি লা-জবাব ডেস্টিনেশন। দিল্লির নারকান্ডার দূরত্ব প্রায় ৪১৯ কিলোমিটার। যেখানে যাওয়ার জন্য আপনাকে ৮ ঘন্টা সময় নিতে হবে। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আপনাকে যে কোনও সময় এখানে যেতে পারেন। নারকান্ডাতে আপনি শুধু মাত্র ৫ হাজার টাকা খরচ করে ঘুরে আসতে পারবেন। হাতিমাতা মন্দির. স্টকস, এবং মহামায়া মন্দির দেখতে পারবেন।
মুক্তেশ্বর
এপ্রিলের উইকেন্ডে ঘুরতে জন্য উত্তরাখণ্ডের মুক্তেশ্বর একটি অত্যন্ত সুন্দর জায়গা। প্রাকৃতিক প্রাচুর্য ভরপুর ঝরনা জঙ্গল এবং একেবারে স্বাধীনতা সংগ্রামে পরিমণ্ডলে মুক্তেশ্বর দিল্লি থেকে ৩৩২ কিলোমিটার দূরে যেখানে যাওয়ার জন্য আপনাকে প্রায় ৬ ঘণ্টা সময় নিতে হবে। অন্যরূপে অবশ্য আসতে পারেন। তাতে কোনও অসুবিধা নেই। মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এখানে আবহাওয়া কেমন থাকে? বর্ষাকালে এখানকার আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। গরমের সময় তো আরামদায়ক বটেই, আপনি এখানে ক্যাম্পিং, ট্রাকিং এবং পিকনিকের উদ্দেশ্যে ফ্যামিলির সঙ্গে আসতে পারেন।
চেল
হিমাচলপ্রদেশের একটি আন্ডাররেটেড হিল স্টেশন চেল। দিল্লি থেকে সাড়ে ৩০০ কিলোমিটার দূর এবং সিমলা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে স্টেশনটি একটা অত্যন্ত সুন্দর জায়গা। এখানে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সারা বছরই আলাদা আলাদা প্রাকৃতিক রূপ দেখা যায়। যখনই যাবেন তখনই মুগ্ধ হবেন। বসন্তে এখানে নানা রকম ফুলের সম্ভার আপনাকে মুগ্ধ করবে।এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাসে এখানকার আবহাওয়া মনোরম। গরমের ছুটিতে সময় কাটানোর অত্যন্ত ভালো জায়গা। এখানে ওয়াইল্ডলাইফ এর মধ্যে হাইকিং, ট্রেকিং করে ৫০০০ টাকার মধ্যে দিব্যি বাড়ি ফিরে আসতে পারবেন।
সারিস্কা
সারিস্কা রাজস্থানের আলওয়ার জেলাতে অবস্থিত পাখিদের বিভিন্ন প্রজাতি এবং ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফির মজা নেওয়ার জন্য সারিস্কা একটা অত্যন্ত সুন্দর জায়গা। পরিষ্কার কাপড় মন ভরিয়ে দেবে। আপনি নিশ্চয়ই বিশেষ করে এ রাজ্যের মানুষেরা গরুমারা, জলদাপাড়া, চিলাপাতা, চাপড়ামারি, লাটাগুড়ি, বক্সা, জয়ন্তী গড়েছেন। তাদের কাছে অনেক বেশি সিঙ্কোনাইজ এবং গোছানো মনে হবেই। স্বাভাবিক রাজ্যের বন-জঙ্গল তো দেখেছেন ৫০০০ টাকার মধ্যে ঘুরে আসুন এবার সারিস্কা।