Bhutan Must Visit Place: রহস্যে ঘেরা দেশ, যার আনাচে কানাচে কান পাতলে আজও শুনতে পাওয়া যায় সাংগ্রিলা বা ড্রাগনের গল্প, যেখানে সারা দেশ জুড়েই জঙ্গলের আর বন্যপ্রাণের প্রাচুর্য, শীতে শ্বেতশুভ্র তুষারাবৃত পর্বতমালা, গ্রীষ্মকালে উপত্যকাগুলোয় নানা রঙের রডোড্রেনড্রন, পপি, চেরি ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্যপট, প্রকৃতির শান্ত-সমাহিত পরিবেশে বৌদ্ধ মন্দিরের সুন্দর স্থাপত্যশৈলি, ছবির মতো সুন্দর আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তায় চোরতেন বা বৌদ্ধ স্তুপ, পাথরের উপর পাথর সাজিয়ে তৈরি জং (যেগুলো আসলে বর্তমানে ভুটানের এক একটি সরকারি দপ্তর) যার অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে টাইম মেশিনে আপনি পৌছে যাবেন আজ থেকে প্রায় কয়েকশো বছর আগে।
ভুটানের মূল প্রবেশদ্বার তিনটি- ফুন্টসেলিং, গেলেফু এবং সামদ্রূপ জোংখার। পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার জয়গাঁ সন্নিহিত ফুন্টসেলিং আসলে পশ্চিম ভুটানের প্রবেশদ্বার, ভারতের বেশিরভাগ পর্যটক এই রাস্তায় ভুটানে প্রবেশ করে। ভুটান ঘুরতে গেলে কোন কোন জায়গা অবশ্যই ঘুরবেন দেখে নিন।
সাসপেনশন ব্রিজ
ফুনাকা জং থেকে একটু দূরে রয়েছে ঝুলন্ত সেতু। ১৬০ মিটারের এই সেতুটি ভুটানের দীর্ঘতম সেতু। ফুনাকা শহরকে ফুনাকা জংয়ের সাথে পো চু নদীর উপর দিয়ে সংযুক্ত করেছে এই সেতুটি।
ডোচুলা পাস
থিম্পু এবং পুনাখার মধ্যে ডোচুলা পাস অবস্থিত। এটি খুবই জনপ্রিয়। প্রায় ৩০০০ মিটার উচুতে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই মঠটি ঠাণ্ডার সময় বরফে আচ্ছাদৃত থাকে। এর কাছাকাছি একটি বোটানিক্যাল গার্ডেনও রয়েছে।
চোরটেন ন্যাশনাল মেমোরিয়াল
এই মন্দিরটি ১৯৭৪ সালে ভুটানের রাজার সম্মানে নির্মিত হয়েছিল। এই মন্দিরে প্রবেশ করার সময় রয়েছে সুন্দর একটি রাস্তা। যার দুপাশ সবুজে ঘেরা। অনেক পর্যটকরা দিনের বেলায় ঘুরে বেড়ান। এই এলাকার চারিদিকে শান্তি ছড়িয়ে রয়েছে।
বুদ্ধ ডোরডেনমা
২০১৫ সালে থিম্পু শহরে বুদ্ধ ডোরডেনমা নির্মাণ হয়। মূর্তিটি মাটি থেকে প্রায় ৫০ মিটার উঁচু। স্থানীয়দের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান। অন্যদিকে, দর্শনার্থীদের জন্য একটি পর্যটন আকর্ষণ। এখানে সকলে এসে সেলফি তোলেন।
ফুনাকা জং
ফুনাকা জং ভুটানের প্রশাসনিক ভবন। প্রশাসনিক অফিসের পাশাপাশি সন্ন্যাসীদের থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে।
ফার্টিলিটি মন্দির
ফুনাকা থেকে এই মন্দিরিটি বেশ কাছে। প্রায় ২০ মিনিটের হাঁটাপথেই মিলে যাবে মন্দিরটি। মন্দিরটিকে পবিত্র বলে মনে করা হয়। কারণ মহিলারা এখানে আসেন শিশুদের জন্য প্রার্থনা করতে। তাই এর নাম ফার্টিলিটি মন্দির। ১৪৯৯ সালে মন্দিরটি নির্মাণ হয়েছিল।
টাইগারস নেস্ট মনাস্ট্রি
টাইগারস নেস্ট মনাস্ট্রি পারোতে অবস্থিত। এটি ভুটানের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও দর্শনীয় স্থান। এই মনাস্ট্রি প্রায় ১০০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। কয়েক ঘন্টা ট্রেকিং করে তবেই আপনি এই মনাস্ট্রির দেখা পাবেন। ট্রেকিং এর পথে আপনি উপভোগ করতে পারবেন মনোরম দৃশ্য। এই মনাস্ট্রিটির উপর থেকে শহরের একটি নৈসর্গিক দৃশ্যে দেখার সুযোগ দেবে।