Darjeeling Cold Tourism: শৈত্য়প্রবাহ চলছে গোটা রাজ্যে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গেই শীতে রাস্তায় বের হওয়া যাচ্ছে না। ফলে উত্তরবঙ্গ তথা পাহাড়ে কী অবস্থা সহজেই অনুমেয়। তবে শীতে গুটিয়ে থাকা নয়, বরং শীত উপভোগ করতে পাহাড়ে ভিড় পর্যটকদের।
ছুটির মরশুম শেষ হয়েছে। তা সত্ত্বেও নজিরবিহীনভাবে পাহাড়ে এখনও পর্যটক রয়েছে। আসলে অনেকর মনেই লোভ, যদি তুষারপাতের সাক্ষী থাকা যায়। গত মরশুমে দেদার তুষারপাত হয়েছিল। এবার এখনও হয়নি। হতে পারে যে কোনও সময়। তাই সেই আশাতেই ভিড় পর্যটকদের।
সমতলে কুয়াশা থাকলেও পাহাড়ে দাঁড়িয়ে ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে। ম্যাল থেকে শুরু করে টাইগার হিল,সর্বত্রই পরিষ্কার আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘা মাথা তুলে রয়েছে।
ম্যাল থেকে চৌরাস্তা, কালিম্পং থেকে কার্শিয়াং,অফবিট নানা জায়গায় থিকথিক করছে ভিড়। অনেকেই দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে জায়গা না পেয়ে, ঘাঁটি গেড়েছেন ‘অফবিট ডেস্টিনেশনে’।
কালিম্পংয়ের গরুবাথানে চলছে খাদ্যমেলা। ডুয়ার্সেপ কাছে হওয়ায় অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন পাহাড়ি খাবারের স্বাদ চাখতে। এদিন মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেল পেপের জিলিপি, বিভিন্ন প্রকার আচার, মারুয়ার মোমো, ঢেকিছাটা চাউল, সেল রুটি-সহ বিভিন্ন সাবেক খাদ্যের সম্ভারে ভিড় রয়েছে ভালই।
আপাতত বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই পাহাড়ে। ফলে বিপদের আশঙ্কাও তেমন নেই। উপরন্তু তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷ যদিও অনেকদিন ধরেই সম্ভাবনা থাকলে কিছুতেই শূন্যতে নামছে না তাপমাত্রা।
আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু অবশ্য সেই চিরচেনা দার্জিলিংই। তবে হোটেল-রিসর্ট-হোমস্টেতে জায়গা পাচ্ছেন না অনেকে। পেলেও তার দাম আকাশছোঁয়া। ফলে অনেকেই পকেট রুটেও পা বাড়িয়েছেন।
শুধুমাত্র ম্যাল বা টাইগার হিল বা চিড়িয়াখানা নয়,দার্জিলিং পাহাড়ের প্রত্যন্ত গ্রামেও সময় কাটাচ্ছেন বহু মানুষ। তবে অনেকেই দিনের একটা সময় এসে ঘুরে যাচ্ছেন ঐতিহ্যের ম্যালে।
বিলাসবহুল হোটেলের বদলে ঘরোয়া মেজাজের হোম স্টে-তে থেকে সেখানকার স্থানীয় ফ্লেভার চেটেপুটে নিচ্ছেন অনেকে। পকেটও বাঁচছে, আবার স্বাদও বদলাচ্ছে।
অনেকে আবার সোলো বা গ্রুপে ট্রেকিংয়ে যাচ্ছেন। যদিও সংখ্যাটা কম। কারণ এ সময় ঠান্ডায় অনভ্যস্ত শরীর ট্রেকিংয়ের ধকল নিতে পারে না অনেকেরই।