যদি আপনি কিশোর অবস্থা পার করে এসে থাকেন, তাহলে আপনার নিজের চেহারার প্রতি আলাদা করে যত্নবান হওয়ার সময় এসেছে। কারণ ৩০ বছর বয়স পার হওয়ার পর থেকে চেহারার প্রাকৃতিক দ্যুতি নষ্ট হতে শুরু করে। মুখের চামড়ায় তার প্রভাব নজরে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে যদি আপনি এখন থেকে ত্বকের যত্ন না নেন, তাহলে কিন্তু আপনার ফর্সা-সুন্দর ত্বকের জেল্লা চিরতরে নিভে যেতে পারে।
বিশেষ করে এই বয়সে মহিলারা সাংসারিক ও কাজকর্মের চাপে বিয়ের পর নিজেদের যত্ন করা ছেড়ে দেন। কাজের চাপে আলস্য ঘিরে ধরে কিংবা শুধুমাত্র পার্লার-স্যালোঁর উপর ভরসা করে থাকেন। কিন্তু এটুকুই কী যথেষ্ট ত্বকের যত্ন ও বয়স ধরে রাখতে?
কিন্তু পার্লারের উপর সব সময় নির্ভর করা ঠিক নয়। একদিকে যেমন সেখানে মোটা টাকা গচ্ছা দিতে হয়, তেমনই সেখানে ব্যবহার হওয়া বেশিরভাগ জিনিসই রাসায়নিক। যাতে ত্বক দীর্ঘকালীনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
রাসায়নিক ক্রিম বা অন্য কোনও ফেসপ্যাক বেশি ব্যবহার ভাল না। প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি বা ভেষজ প্রোডাক্ট ত্বককে কিন্তু ক্ষতি করে না। আরও ভাল কোনও প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে যদি ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়।
এই সময় বেশিরভাগ মহিলা কর্মরতা। তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয় না যে তাঁরা সারাদিন ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। তাই তাঁদের জন্য রাতের কিছু ফেসপ্যাক রয়েছে, যা তাঁরা রাতে মেখে সকালে ঝকঝকে ত্বক পেতে পারেন। আসুন জেনে নিই...
১. গ্লিসারিন, লেবু এবং গোলাপজল ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার এটিকে মুখ, গলা এবং শরীরের যে অংশ খোলা থাকে, সেখানে ম্যাসাজ করে মেখে নিন। এরপর ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন।
২.মুখ, গলা হালকা গোলাপজলে ধুয়ে নিন। এরপর ওটমিল দিয়ে মুখ স্ক্রাব করুন। ধোয়ার পর শসার পাতলা ফালি করে মুখে রগড়ে নিন।
৩. মিল্ক ক্রিম এবং গোলাপ জল মিশিয়ে স্ত্রাবার তৈরি করুন। এবার ৫ মিনিট এটিকে মুখে, গলায়, ঘাড়ে স্ক্রাব করুন। এবার হালকা উষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৪. ভিটামিন-ই এর কিছু ক্যাপসুল গোলাপজলে মিশিয়ে নিন। এবার এটিকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মুখে, ঘাড়ে ম্যাসাজ করুন।