প্রত্যেক মানুষই চায় যে তার জীবন সুখ আর স্বাচ্ছন্দের হোক। পরিশ্রমের সুফল যেন তিনি পান! তবে অনেক সময় হাজার চেষ্টা করেও যখন সাফল্য মেলে না, জীবনে দুর্ভোগ কমে না, তখন সেটাকে ভাগ্যের দোষ বলে মনে করা হয়।
কিন্তু বাস্তুশাস্ত্রে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যেগুলি মেনে চললে ভাগ্য শক্তিশালী শুধু হয় তাই নয়, অর্থাগমও হয় দেদার। বাস্তুশাস্ত্রের প্রতি মানুষের নির্ভরতা ক্রমশ বেড়েছে। কারণ, এখন ধীরে ধীরে বাস্তুশাস্ত্রের কার্যকারিতা অনেকেই সম্পর্কে অবগত হচ্ছেন।
মানুষের জীবনে নানা সমস্যা আসে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় গ্রহের কোনও দোষ না থাকা সত্ত্বেও সংসারে প্রতি পদে বাধা-বিপত্তি আসছে। তখন বুঝতে হবে, বাড়িতে কোনও রকম বাস্তু দোষ তৈরি হয়েছে।
বাস্তুশাস্ত্রে বাড়িতে সিঁড়ি কেমন থাকবে তার জন্য কিছু নিয়ম দেওয়া হয়েছে, যা মেনে চললে পরিবারে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। সঠিকভাবে বাড়িতে সিঁড়ি তৈরি করলে যেমন উন্নতি, তেমনই ভুল সিঁড়ি ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।
বাড়িতে সিঁড়ি থাকলে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রাখাই সবচেয়ে ভাল। এই দিকে সিঁড়ি বা মই রাখলে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। এটি অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করে। উত্তর-পূর্ব দিকে সিঁড়ি নির্মাণ করা উচিত নয়। এ কারণে আর্থিক ক্ষতি, স্বাস্থ্যহানি, চাকরি ও ব্যবসায় সমস্যায় পড়তে হয়।
বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সিঁড়ি তৈরি করলেও তা বাস্তু অনুসারে খারাপ ফল আনে। এ কারণে শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ে। সিঁড়ির প্রতিটি ধাপ যেন সমান থাকে তা নজরে রাখতে হবে।
সিঁড়ির কোণা ভেঙে গেলে সঙ্গে সঙ্গে মেরামত করুন। সিঁড়ির সংখ্যা সব সময় বিজোড় রাখা ভাল। কখনওই জোড় সংখ্যার সিঁড়ি রাখবেন না।
সিঁড়ি চওড়া এবং প্রশস্ত হলে তা বাস্তুমতে ভাল ফল দেয়। সংকীর্ণ সিঁড়ি প্রগতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সিঁড়ির পিছন বা নীচে কখনও খালি রাখতে নেই। ছোট ঘর বানাতে পারেন কিংবা জিনিসপত্র রাখুন।
সিঁড়ির নীচে কখনও শৌচাগার নির্মাণ করবেন না। বাড়ি তৈরির সময় এগুলি খেয়াল রাখতে পারলে আর্থিক ও পারিবারিক পরিস্থিতি শুধরে নিতে পারবেন।