ওজন কমানো হোক বা বাড়ানো, প্রত্যেকেরই শরীর অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন প্রয়োজন। এর কারণ হল প্রোটিন এমন একটি ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট, যা শরীরের পেশী তৈরি থেকে শুরু করে হাড়ের সুস্থতা সব কিছুতেই সাহায্য করে।
শুধু যারা জিমে যায় বা শরীরচর্চা করেন তারা নয়, প্রত্যেক পুরুষ ও মহিলার পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করা প্রয়োজন। যারা বেশি সক্রিয় বা ওয়ার্কআউট করেন, তারা প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট, পনির, নন-ভেজ ইত্যাদি খেয়ে প্রোটিনের অভাব পূরণ করেন।
এমন কিছু ফল আছে, যেগুলো ব্যস্ততার মধ্যেও খাওয়া সম্ভব এবং শরীরে প্রোটিনের অভাব পূরণ করতে সাহায্য করবে। তবে মনে রাখবেন যে, ফলের মধ্যে প্রাকৃতিক শর্করা পাওয়া যায়, তাই অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করার পরেই সেগুলি খান।
পেয়ারা
পেয়ারাতে প্রচুর প্রোটিন পাওয়া যায়। ১ কাপ পেয়ারায় ৪.১ গ্রাম প্রোটিন থাকে, যা অন্যান্য ফলের তুলনায় অনেক বেশি। এর পাশাপাশি দৈনিক চাহিদার ৪ গুণ ভিটামিন সি পাওয়া যায় এতে। পেয়ারা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইবারেরও খুব ভাল উৎস। পেয়ারা কেটে বা গোটা খাওয়া যায় বা প্রোটিনের অন্যান্য উৎস যেমন দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খাওয়া যায়।
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডো শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর চর্বির উৎসই নয়, একই সঙ্গে এতে প্রোটিনের পরিমাণও রয়েছে। ১ কাপ অ্যাভোকাডোতে প্রায় ৪ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এটি পেয়ারার চেয়েও অনেক বেশি সুস্বাদু। আপনি চাইলে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে স্মুদি বানাতে পারেন অথবা অন্যান্য ফলের সঙ্গে স্যালাড হিসেবেও খেতে পারেন।
কাঁঠাল
কাঁঠাল, ভারতের অনেক স্থানে 'ভেগান মিট' নামেও পরিচিত। এটি উপর থেকে কাঁটাযুক্ত এবং ভিতরে নরম। ফিলিপাইন, ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো জায়গায় কাঁঠাল খুব বড় আকারে পাওয়া যায়। ১ কাপ কাঁঠালে প্রায় ৩ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এছাড়াও এটি ভিটামিন সি, ফাইবার এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ।
কিউই
কিউই বেশিরভাগ মানুষই পছন্দ করেন। এটি খেতেও খুবই ভাল। বেশিরভাগ মানুষই কিউই এবং দুধের স্মুদি পান করতে পছন্দ করেন। প্রতি কাপে ২.১ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এছাড়া দৈনিক চাহিদার দ্বিগুণ প্রোটিন পাওয়া যায় এতে।