এক মহিলা তার শ্বশুর-শাশুড়ির ওপর রাগ করার কারণ জানিয়েছেন। সেই কারণ শুনলে আপনিও অবাক হবেন। মহিলাটি লিখেছেন তাঁর শ্বশুর ও শাশুড়ি দু'জনেই খুব ভালো তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের মনোভাব বেশ অদ্ভুত ছিল।
(Representative Photo:Freepik)
মহিলা লিখেছেন, 'আমার শ্বশুর-শাশুড়ি ফেসবুকে আমার ফ্রেন্ডলিস্টে ছিলেন এবং তাঁরা আমার প্রতিটি পোস্টে মন্তব্য করতেন। যদি আমি নিজেন সন্তানের ছবি রাখতাম তবে প্রশংসা করতেন আর যদি বন্ধুদের সাথে ছবি পোস্ট করতাম, তখন এমন কমান্ট করতেন যাতে বিব্রত বোধ করতাম। '
(Representative Photo:Freepik)
মহিলা লিখেছেন, 'আমার বয়স এখনও ৪০ বছরও হয়নি এবং ৬৮ বছর বয়স পর্যন্ত আমি যা খুশি তা পরতে পারি, তবে আমার শ্বশুর-শাশুড়ি প্রায়শই আমার ছবিতে কুৎসিত মন্তব্য লিখতেন। আমার একটি ফটোতে তাঁরা লিখেছিলেন, যে আমি মাতাল ছিলাম, এই অবস্থায় সন্তানরা আশাকরি আমায় দেখতে পাবে না।'
(Representative Photo:Pixabay)
মহিলা লিখেছেন যে পরের দিন তার পোস্টে তার শাশুড়ির অদ্ভুত মন্তব্যে বিরক্ত হয়ে আমি তাকে ফেসবুকের বন্ধুত্বের লিস্ট থেকে সরিয়ে দিয়েছিলাম। এ কারণে তারা দুজনেই আমার উপর রেগে যায়।
(Representative Photo:Pixabay)
মহিলা লিখেছেন, 'আমার শাশুড়ি আমাকে মেসেজ করেন কেন আমি তাঁকে ফ্রেন্ডলিল্ট থেকে বার করে দিয়েছি। আমি তাঁকে ফোন করে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলাম যে আমি তার কিছু মন্তব্য খুব আপত্তিজনক বলে মনে করি এবং আমি আমার সোশ্যাম মিডিয়া অ্যাকাউন্টটি আমার কয়েকজন বন্ধুর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই। আশুড়ি আমার শ্বশুরকে বিষয়টি জানান এবং তার পর থেকে তারা দু'জনই আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন।'
(Representative Photo:Pixabay)
মহিলা লিখেছেন যে আমার স্বামী তাঁর বাবা-মাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। স্বামী তাঁর বাবা-মাকে বলেন বলেন আনফ্রেন্ড করার জন্য তাঁরা আমাকে কিছু বলতে পারেন না, কারণ আমার বয়সের মহিলারা তাদের শাশুড়ির সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকেন না। আমি তাও নম্রতা দেখিয়ে তাঁদের রিকোয়েস্ট গ্রহণ করেছিলাম।
(Representative Photo:Pixabay)
মহিলা লিখেছেন, 'শ্বশুর-শাশুড়ি টিনওজারদের মতো আচরণ করছিলেন। আমিকেও আগে অনেকে আনফ্রেন্ড করেছিলেন কিন্তি তা নিয়ে আমি আপত্তি করিনি। তবে আমার শ্বশুর-শাশুড়ির আচরণ খুব শিশুসুলভ। তাঁরা আর আমার বাড়িতেও আসেন না। আমার স্বামী সন্তানদের নিয়ে সেখানে যান তবে আমাকে ডাকা হয় না। যা খুব হাস্যকর বিষয়।'
(Representative Photo:Pixabay)
মহিলাটি বলছেন, যে এখন আমার শাশুড়ি তখনই স্বাভাবিক হবেন যখন আমি তাদের ফ্রেন্ডলিল্টে অন্তর্ভুক্ত করব, তবে কেন আমি এটি করব? মহিলা লিখেছেন, 'আমি মনে করি ৭০ বছর বয়সে তাঁদের নিজেদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে আরও বেশি চিন্তিত হওয়া উচিত, বৌমার সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে নয়।'
(Representative Photo:Pixabay)
মহিলা বলেন, 'আমার সন্তান একদিন আমাকে জিজ্ঞাসা করল কেন তার দাদু-ঠাকুমা আমার সাথে আর কথা বলছেন না। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম যে তাকে অন্য কোনও কারণ বলতে হবে, তারপরে আমি ভাবলাম যা সত্যি তাই বলা উচিত। আমি তাকে বলেছিলাম যে তার দাদু-ঠাকুমা আমার ফেসবুক পোস্টগুলি আর দেখতে না পাওয়ায় তাদের মনক্ষুন্ন হয়েছে। আমার ১০ বছরের ছেলে বলেছিল যে এটি খুব অবাক করা বিষয়।'
(Representative Photo:Pixabay)
মহিলা লিখেছেন, 'আমি কেবল আশা করি যে তারা এ জাতীয় ছেলেমানুষি ছেড়ে বিষয়টির অবসান ঘটাবে। আমি মনে করি এগিয়ে যেতে হবে এবং এই বিষয়টির সমাধান করতে হবে। আমি তাদের ফেসবুকে অ্যাড করব না, তবে ফোনে কথা বলে আমি বোঝানোর চেষ্টা করব।
(Representative Photo:Pixabay)