আজ বিশ্ব ক্যানসার দিবস। মারণ এই রোগ নিয়ে সচেতনতা সত্ত্বেও প্রত্যেক বছর এই রোগে আক্রান্ত হয়ে লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। প্রত্যেক বছর ৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিতে এই ক্যানসার দিবস পালন করার অর্থ হল এদিন এই রোগটি কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়, চিকিৎসাই বা কি তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। তবে এমন কিছু খাদ্য রয়েছে যা খেলে ক্যানসার রোগ প্রতিরোধ করা যায়। কারণ ওই সব খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন, সালফোরাফেন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ অন্যান্য জিনিস যা ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করতে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি কিছু অস্বাস্থ্যকর খাবারও রয়েছে যা এই মারণ রোগ ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
রঙিন ফল এবং শাক-সবজি - ফল এবং সবজি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খুব উপকারী বলে বিবেচিত হয়। বিভিন্ন রঙের ফল ও শাক-সবজিতে প্রচুর পুষ্টি পাওয়া যায়। ফল এবং সবজি সব ধরণের ক্যান্সারের সম্ভাবনা হ্রাস করে। আপনার ডায়েটে লাল, সবুজ এবং কমলা রঙের শাকসবজি অবশ্যই রাখবেন।
ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার - ফোলেট বা ভিটামিন বি৯ হলো পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন। এটি ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের সদস্য। এটি ডিএনএ তৈরিতে সাহায্য করে। মলদ্বার এবং স্তন ক্যানসার থেকে রক্ষা করে। তাই আপনার প্রাতঃরাশে যতটা সম্ভব ফোলেট জাতীয় খাবার রাখুন। ফোলেটের পরিমাণ বাড়াতে কমলার রস, বাঙ্গি এবং স্ট্রবেরি খান। এগুলি ছাড়া ডিম, মটরশুটি, সূর্যমুখীর বীজ এবং পালংশাকও ফোলেটের খুব ভাল উৎস।
টমেটো- সমীক্ষা অনুসারে টমেটোতে পাওয়া লাইকোপিন প্রস্টেট ছাড়াও অনেক ধরণের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া টমেটো থেকে তৈরি রস, সস বা পেস্টের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবার ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষমতা বাড়ায়।
গ্রিন টি - গ্রিন টি ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে খুব সহায়ক বলে মনে করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে গ্রিন টি কোলন, লিভার, স্তন এবং প্রোস্টেট কোষগুলির ক্যানসার থেকে রক্ষা করে। এটি ফুসফুসের টিস্যু এবং ত্বকেও ভাল প্রভাব ফেলে। গ্রিন টি ব্লাডার, পেট এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকিও হ্রাস করে।
আঙ্গুর - আঙ্গুর এবং এর রসে রেসভেট্রোল ল নামে একটি যৌগ থাকে। রেসভেট্রোলs শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। রেসভেট্রোল ক্যানসারজনিত ক্ষত থেকে কোষকে রক্ষা করে।
জল এবং অন্যান্য ফ্লুইড - জল কেবল তৃষ্ণা নিবারণ করে না, এটি মূত্রাশয়ের ক্যানসারও প্রতিরোধ করে। ডায়েটে তরলের পরিমাণ বাড়ার কারণে বেশি প্রস্রাব হয় এবং এর কারণে মূত্রাশয় সর্বদা পরিষ্কার থাকে, যা ক্যানসারের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
রাজমা- রাজমার ক্যানসার প্রতিরোদী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলিতে প্রচুর উপকারী ফাইটোকেমিক্যালস রয়েছে, যা ক্যানসার সৃষ্টিকারী যে ক্ষতগুলি থেকে রক্ষা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, রাজমায় থাকা পুষ্টিগুণ টিউমারগুলিকে বাড়তে বাধা দেয়।