আজ World Egg Day। আট থেকে আশি— সকলের শরীর-স্বাস্থ্যের জন্যই ডিমের প্রয়োজনীয়তা আর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে এই দিনটি বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে। তবে শুধু ডিম নয়, ডিমের খোসাও আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী! কারণ, গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, হাড়ের ক্ষয় রোধ করার ক্ষমতা রয়েছে ডিমের খোসায় থাকা নানা উপাদানের মধ্যে।
অস্টিওপোরোসিস হাড়ের ভয়ঙ্কর একটি রোগ। শরীরে খনিজ লবণ, বিশেষ করে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে এ রোগটি হয়। মহিলাদের ঋতুস্রাব হওয়ার পর থেকেই অস্থির ঘনত্ব ক্রমশ কমতে থাকে। তাই অস্টিওপোরোসিস পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়।
অতিরিক্ত মাত্রায় চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস, চিপস ও বিভিন্ন ফাস্ট ফুড, কাঁচা খাবারে বা সালাদে মেশানো নুন, খাবারের পাতে বাড়তি নুন খাওয়ার অভ্যাসও হাড়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর! এ সব আমরা না জেনেই খাই আর বাড়িয়ে তুলি অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি।
আমাদের কঙ্কাল হল আমাদের শরীরেরই কাঠামো। হাড়ের মাধ্যমে এই কাঠামো তৈরি হয়। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই নিজের হাড়ের যত্নের বিষয়ে খুবই উদাসীন। অধিকাংশই হাড়ের সমস্যায় তেমন একটা গুরুত্ব দিতে চান না। আমাদের অজ্ঞতা এবং অবহেলার ফলে নিঃশব্দে আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে হাড়ের মারাত্মক সব অসুখ!
এ তো গেল ঘরোয়া টোটকার কথা। গবেষকদের দাবি, ডিমের খোসার গুঁড়ো ক্যালসিয়াম এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে পারে এমন অন্যান্য বেশ কয়েকটি জরুরি উপাদানের একটি প্রাকৃতিক উৎস।
এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গবেষণায় ডিমের খোসার গুঁড়োর বেশ কিছু ইতিবাচক গুণ সামনে এসেছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডিমের খোসার গুঁড়ো মহিলাদের ঋতুস্রাব হওয়ার পরেও অস্থির ঘনত্ব ক্রমশ বাড়াতে সাহায্য করে। এটি মহিলাদের মধ্যে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
গাঁটের ব্যথা বা জয়েন্ট পেইন কমাতে ডিমের খোসার গুড়ো অব্যর্থ পথ্য! একটি পাত্রে অ্যাপল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে একটা গোটা ডিমের খোসা ভাল করে গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিয়ে ওই মিশ্রণ অন্তত ২-৩ দিন রেখে দিতে হবে। যখন ডিমের খোসার গুঁড়ো ভিনিগারের সঙ্গে একেবারে মিশে যাবে, তখন ওই মিশ্রণ দিয়ে ব্যথার জায়গায় আলতো করে মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়। ডিমের খোসায় থাকে কোলাজেন, গ্লুকোসামিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যা ভিনিগারের সঙ্গে মিশে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।