প্রত্যেক মানুষই চায় তার দাঁত মুক্তোর মতো সাদা ও চকচকে হোক। এ জন্য তারা প্রতিদিন ব্রাশও করেন। তা সত্ত্বেও দাঁতে হলুদ হতে দেখা যায়। প্রতিদিন ব্রাশ করার পরও কেন দাঁত হলুদ হয়, এই প্রশ্নটা বেশিরভাগ মানুষের মনেই জাগে? কেন এমন হয়, এর কারণও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। জেনে নিন কেন এমন হয়...
কখনও কখনও দিনে দুবার দাঁত ব্রাশ করা যথেষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন দাঁত হলুদ হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। প্রথম কারণ হল বেশি বেশি কফি, চা, রেড ওয়াইন বা সোডা জাতীয় পানীয় খাওয়া। এগুলি একটানা খেলে প্রতিদিন দাঁত পরিষ্কার করার পরও হলুদ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সোডার উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বোঝা যাক।
সোডায় এমন রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা দাঁতের উপরের স্তরকে সরিয়ে দেয়। ফলস্বরূপ, দাঁতে দাগ এবং তাদের বিবর্ণ হতে পারে। তাই দাঁত হলুদ হয়ে গেলে সবার আগে এগুলি নিয়ন্ত্রণ করুন এবং প্রতিদিন দাঁত পরিষ্কার করুন। এটি করলে হলুদভাব কমানো যায়।
দাঁত হলুদ হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হল তামাক খাওয়া এবং ধূমপান করা। এটি যত কম করবেন, দাঁত হলুদ হওয়ার সম্ভাবনা তত কমবে। সেজন্য শুধু প্রতিদিন দাঁত পরিষ্কার করাই জরুরি নয়, এমন জিনিস থেকে দূরত্ব বজায় রাখাও জরুরি। এ ছাড়া কিছু ওষুধও দাঁত হলুদের কারণ হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, কেমোথেরাপি এবং অ্যান্টিবায়োটিকের মতো ওষুধ।
কিছু বাচ্চাদের, ছোটবেলা থেকেই দাঁত হলুদ দেখা যায়। এর অন্যতম কারণ পুষ্টির অভাবও হতে পারে। যে কারণে দাঁতের বাইরের স্তরটি সঠিকভাবে বিকশিত হয় না এবং স্ট্রেন দেখা যায় বা হলুদভাব বৃদ্ধি পায়। এছাড়া বয়স বৃদ্ধিও দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ হতে পারে। দাঁতের ঠিক পিছনে হলুদ রঙের ডেন্টিন থাকে। তাই বার্ধক্যে যখন দাঁতের বাইরের স্তর চলে যায়, তখন হলুদ রঙের ডেন্টিন দেখা দিতে শুরু করে।
দাঁতের হলদে ভাব দূর করতে সরষের তেল ও লবণও ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য এক চিমটি বিট লবণের মধ্যে কয়েক ফোঁটা সরষের তেল মিশিয়ে দাঁত পরিষ্কার করুন। এটি দাঁতের হলদে ভাবও দূর করে। সোডিয়াম, ক্লোরাইড, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্রোমিয়াম, লিথিয়াম, আয়রন, আয়োডিনের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান বিট লবণে পাওয়া যায়, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।