সম্পর্কে থিতু হওয়ার পরই ছেলে-মেয়েরা বিয়ের কথা ভাবেন। কিন্তু বিয়ে বললেই তো করা যায় না। সে জন্য ভাবনা-চিন্তা প্রয়োজন। দরকার পরিকল্পনার। বিয়ে টিকিয়ে রাখতে গেলে একে অপরকে বোঝা প্রয়োজন। জীবনে অনেক সংঘাত-সমস্যা আসে, সেগুলোর কীভাবে মোকাবিলা করা যাবে তা নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন।
সেজন্য বিবাহিত জীবনকে যদি সুরক্ষিত ও মসৃণ রাখতে চান তাহলে বিয়ে বা আর্শিবাদীর আগে পার্টনারের সঙ্গে কথা বলা দরকার। আলোচনা করে নেওয়া দরকার অনেক বিষয়ের। কী কী বিষয় আলোচনা করা দরকার পার্টনারের সঙ্গে তা নিয়ে গবেষণা করেছেন অনেকে। আমেরিকান ওয়েবসাইট Brides.com এর সঙ্গে কথোপকথনে ম্যারেজ থেরাপিস্ট হ্যাটি জে লি বলেন, 'অনেকে আর্শিবাদের পরে পার্টনারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে থেকেই এই আলোচনা দরকার। যদি আলোচনা না করেন তাহলে পরে বিপদ হতে পারে।'
কী কী বিষয় আলোচনা করা দরকার?
সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত আর্থিক অবস্থাকে। যেহেতু আর্থিক কারণে স্বামী-স্ত্রী-র মধ্যে বিচ্ছেদ হয়, ঝামেলা হয় সেই কারণে আপনাদের দুজনের আর্থিত বিষয়গুলোতে আলোচনা করে নেওয়া দরকার। কার কত ঋণ রয়েছে, খরচের হাত কেমন-এসব আগেই জেনে নিন পার্টনারের থেকে।
অনেকে বিয়ের আগে সন্তান নিয়ে কথা বলতে চান না। তবে এই নিয়ে পার্টনারের সঙ্গে বিয়ের আগেই কথা বলে নেওয়া উচিত। সবার জীবনের গোল এক রকম হয় না। তাই বিয়ের আগেই পার্টনারকে জানিয়ে দিন আপনি কখন সন্তান চান। কোনও কোনও ক্ষেত্রে বিয়ের পরপরই পার্টনারকে সন্তান নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। সেই পরিস্থিতি যাতে না আসে সেজন্য আগেভাগে মতামত জেনে নিন ও নিজেরটা রাখুন।
বিয়ের অর্থ এক এক জনের কাছে এক এক রকম। কারও কাছে বিবাহের অর্থ আইনি বন্ধন। কারও কাছে অংশীদারিত্ব। সেজন্য বিবাহ নিয়ে একে অপরে কী ভাবছেন সেই ধারণা থাকা দরকার। তা নিয়ে আলোচনাও করতে পারেন।
বিয়ের আগে পার্টনার অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে রয়েছে কি না সেটাও জেনে নেওয়া প্রয়োজন। এই বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করা যেতে পারে। না হলে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে।
কেরিয়ারের গোল সবার কাছে সমান নয়। সেজন্য আপনার পার্টনার যদি বিয়ের পরও লেখাপড়া চালিয়ে যেতে চান বা বাইরে আপনাকে ছেড়ে চাকরি করতে যেতে চান, সেসব আগে থেকে জেনে রাখুন।
সোশ্যাল মিডিয়া আজকালকার দিনের একটা বড় ইস্যু। কেউ এতে বেশি সক্রিয় থাকেন, কেউ কম। সেজন্য পার্টনারের সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনা করে নিন। আপনার অভ্যাস, কথাবার্তা বলার ধরন ইত্যাদি কেমন সেটাও বুঝিয়ে দিন। তবেই ভবিষ্যৎ মসৃণ হবে।