আচার্য চাণক্য ভারতীয় ইতিহাসে একজন মহান দার্শনিক ও চিন্তাবিদ। তিনি জীবন যাপনের জন্য বিবিধ নীতি তৈরি করেছেন। কোনও ব্যক্তি, পরিবার, প্রতিষ্ঠান, সমাজ ইত্যাদির আচরণ কেমন হওয়া উচিত এবং তাঁদের সকলের কর্তব্য ও অধিকার নিয়ে সবিস্তারে লিখেছেন চাণক্য। আচার্য চাণক্য বিবাহের রীতি নিয়েও নীতিকথা লিখে গিয়েছেন। দাম্পত্য সম্পর্কে সুখ ও শান্তি থাকবে চাণক্যনীতি মেনে চললে।
বিয়ে করার সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখা উচিত? বৈবাহিক সম্পর্কে জড়ানোর আগে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার কী কী গুণাবলী থাকা উচিত তা বিশদে উল্লেখিত রয়েছে চাণক্যনীতিতে। বিবাহের বয়স নিয়ে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে রয়েছে নানা কৌতূহল। তাঁরা জানতে চান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের ফারাক কত হলে সুখে থাকা যায়? দাম্পত্যসুখ বাড়ে? বয়সের ফারাক নিয়ে নিজের মত সুস্পষ্ট রুপে দিয়ে গিয়েছেন আচার্য চাণক্য।
বিবাহ আধ্যাত্মিক বিষয়- চাণক্যর মতে, বিবাহের সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার যোগ রয়েছে। নারী-পুরুষের দাম্পত্য জীবনের দুশ্চিন্তা দূর করতে নানা কথা বলেছেন চাণক্য। আচার্য বলেছেন, বিবাহ একটি আদর্শ সামাজিক-ধর্মীয় সম্পর্ক। বিবাহও একটি আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতাও। একটি সফল বিবাহ হল সেই যেখানে স্বামী এবং স্ত্রী একে অপরকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সন্তুষ্ট করে।
স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ফারাক- আচার্য চাণক্য বলেছেন, দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের ব্যবধান যেন বেশি না হয়। শুধুমাত্র একজন শারীরিকভাবে সক্ষম পুরুষই তাঁর স্ত্রীর শারীরিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেন। এমতাবস্থায় স্বামী বৃদ্ধ হলে স্ত্রীকে মানসিক ও শারীরিক সুখ দিতে পারেন না। আচার্য চাণক্য বলেছেন যে স্ত্রীর ইচ্ছাপূরণ না হলে তিনি অন্য পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারেন। এই কারণে বিবাহিত জীবন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।