
Divorce Rate in India: গোটা বিশ্বের গড় বিবাহবিচ্ছেদের হার বর্তমানে ১.৮ শতাংশ। আমেরিকায় বিবাহবিচ্ছেদের হার ২০২৩ সালে অগাস্ট পর্যন্ত ২.৫ শতাংশ। বিবাহবিচ্ছেদের পরিসংখ্যানের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে মলদ্বীপ, যেখানে ডিভোর্সের হার ৫.৫২ শতাংশ। মলদ্বীপের পরেই এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কাজাখস্তান, যেখানে ডিভোর্সের হার ৪.৬ শতাংশ এবং তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা রাশিয়ায় বিবাহবিচ্ছেদের হার ৩.৯ শতাংশ।
অনেকেই একে অবধারিত সত্য হিসেবে মেনে নিয়েছেন যে, যত বিয়ে হবে তার অর্ধেকের পরিনতি হল বিবাহবিচ্ছেদ। কিন্তু এই পরিনতি শুধুমাত্র প্রথম বিয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যারা একাধিকবার বিয়ে করেছেন, তাদের বিবাহবিচ্ছেদের হার অনেক বেশি। প্রকৃতপক্ষে, দেখা গিয়েছে দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে ডিভোর্সের হার ৬৭ শতাংশ। দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে ৭৩ শতাংশই বিবাহবিচ্ছেদের পথ বেছে নেন।
ফোর্বসের রিপোর্টে ভারতে ডিভোর্সের হার সর্বনিম্ন
সম্প্রতি ফোর্বসের (Forbes) সমিক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। ফোর্বসের (Forbes) সমিক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ভারতে ডিভোর্সের হার সর্বনিম্ন, ১ শতাংশ। অর্থাৎ, দাম্পত্যে সম্পর্ক রক্ষায় ভারত বিশ্ব ব়্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রয়েছে।
গ্লোবাল ইনডেক্সের রিপোর্টে দাম্পত্যে সম্পর্ক রক্ষায় শীর্ষে ভারত
শুধু ফোর্বসের সমীক্ষাতেই নয়, গ্লোবাল ইনডেক্সের প্রকাশিত তথ্যও একই কথা বলছে। গ্লোবাল ইনডেক্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ডিভোর্সের হার ১ শতাংশ। ভারতের পরই এই তালিকায় দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বিবাহবিচ্ছেদের রেকর্ড রয়েছে ভিয়েতনামে। এখানে ডিভোর্সের হার ৭ শতাংশ।
Divorce rate:
— Global Index (@TheGlobal_Index) September 16, 2023
🇮🇳India: 1%
🇻🇳Vietnam: 7%
🇹🇯Tajikistan: 10%
🇮🇷Iran: 14%
🇲🇽Mexico: 17%
🇪🇬Egypt: 17%
🇿🇦South Africa: 17%
🇧🇷Brazil: 21%
🇹🇷Turkey: 25%
🇨🇴Colombia: 30%
🇵🇱Poland: 33%
🇯🇵Japan: 35%
🇩🇪Germany: 38%
🇬🇧United Kingdom: 41%
🇳🇿New Zealand: 41%
🇦🇺Australia: 43%
🇨🇳China: 44%…
পর্তুগালে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সবচেয়ে বেশি
বলছে। গ্লোবাল ইনডেক্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের বিবাহ বিচ্ছেদের হার সবচেয়ে বেশি (৯৪ শতাংশ) পর্তুগালে। পর্তুগালের পর স্পেনে বিবাহ বিচ্ছেদের হার ৮৫ শতাংশ। লাক্সেমবার্গ, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, ফ্রান্স এবং সুইডেন সহ আরও কয়েকটি ইউরোপীয় দেশও বিবাহবিচ্ছেদের হার ৫০ শতাংশের বেশি।
ধর্মের নিরিখে ভারতে বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত তথ্য
ভারতে, বিবাহবিচ্ছেদ দম্পতিদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং পর্ব। এখানে আইনি কাঠামো ব্যক্তির ধর্মের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। যেমন, হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন এবং শিখদের জন্য, বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া ১৯৫৫ সালের হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এদিকে, ভারতের মুসলিমরা ১৯৩৯ সালের মুসলিম বিবাহ আইনকে মেনে চলেন। পার্সিদের জন্য, ১৯৩৬ সালের পারসি বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদ আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয়। খ্রিস্টানরা ১৮৬৯ সালের ভারতীয় বিবাহবিচ্ছেদ আইন মেনে চলেন। অন্যদিকে, আন্তঃ-সম্প্রদায়িক বিবাহ (Inter-community marriages), ১৯৫৪ সালের বিশেষ বিবাহ আইনের আওতায় পরিচালিত হয়।
ফোর্বসের (Forbes) সমিক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ধর্মের নিরিখে হিন্দুদের মধ্যেই ডিভোর্সের হার সবচেয়ে কম। রিপোর্ট অনুযায়ী, হিন্দু জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ বিবাহিত। এই জনসংখ্যার মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ বিবাহবিচ্ছেদের পথ বেছে নিয়েছেন।