বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, শরীরের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাই সয়। তবে কথাটি সব ক্ষেত্রে খাটে না। দীর্ঘ দিনের অনিয়ম এবং যথেচ্ছাচার কিন্তু অচিরেই বিপদ ডেকে আনতে পারে। অনেকে পুরোদস্তুর ডায়েট মেনে খাওয়া-দাওয়া করেন, কাজ কর্মের রুটিনও সময় ধরে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রোগভোগের শেষ নেই। এর পিছনে নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। এই সাধারণ ৫টি ঘরোয়া নিয়ম মেনে চললে কিন্তু বহু রোগকে দূরে সরিয়ে সুস্থ নিরোগ শরীরের অধিকারী হবেন। দেখে নিন কোন সেই ৫ টোটকা।
প্রস্রাব চেপে রাখবেন না
প্রস্রাব চেপে রাখা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। দীর্ঘ দিন এ অভ্যাস থাকলে শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নানা ধরনে ইউরিনাল ট্র্যাক্ট রোগ হতে পারে। যা ভবিষ্যতে খুবই মারাত্মক হতে পারে।
নিয়ম মেনে ব্রাশ করুন
সারা দিনে আমরা অনেকবার খাবার খাই। কিন্তু দিনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একবারই ব্রাশ করি। খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া হয় যাতে জীবাণু সংক্রমণ ঠেকানো যায়। কিন্তু মুখের মধ্যে জন্মানো ব্যাক্টেরিয়ার ক্ষেত্রে কী করবেন! তাই প্রতি দিন একবার অন্তত ৩-৪ মিনিট ব্রাশ করুন। দুবার করতে পারলে আরও ভালো। এতে মুখগহ্বরের ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস হবে। তার সঙ্গে দাঁত আর মাড়িও সুস্থ থাকবে।
রোজ স্নান করুন
সারা বছর স্নান করা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলুন। একদিন স্নান না করলে শরীরে নানা ধরনের ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধে। অনেকেই শীতকালে পর পর বেশ কয়েক দিন স্নান না করে কাটিয়ে দেন। এতে দ্রুত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। তবে শুধু স্নান করলেই হবে না, তার সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোথাও সাবান বা শ্যাম্পুর ফেনা না লেগে থাকে। ভালো মতো শরীর না ধুলে ফেনা জমে নানা ধরনের ত্বকের রোগ হতে পারে।
৩০ মিনিট শরীরচর্চা
দিনে অন্তত ৩০ মিনিট কসরত করুন। ঘাম ঝরান। ঘামের সঙ্গে শরীরের ক্ষতিকারক নানা টক্সিন বেরিয়ে যায়। জিমে যেতে পারলে তো কথাই নেই। যদি না যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে ফ্রি হ্যান্ড এবং হাঁটাহাঁটি করুন। যাঁরা হার্ট বা বাতের সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছেন, তাঁরাও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে স্ট্রেংথ ট্রেনিং করলে সুফল পাবেন। এথে শরীর শুধুমাত্র শক্তিশালীই হয় না, তার সঙ্গে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
কাঁচা মাছ-মাংস সাবধানে পরিষ্কার করুন
যে বেসিনে ফল-সব্জি বা হাত ধোয়া হয়, সেখানে কাঁচা-মাংস ধোয়া বন্ধ করুন। কাঁচা মাছ-মাংস নানা ধরনের ক্ষতিকারক জীবাণুর আঁতুড়ঘর। একই ভাবে এগুলো কাটার জন্যেও আলাদা ছুরি বা বটি ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন, একটি ছুরি বা বটিতে কাটা হলে ফল বা সব্জিতে জীবাণু খুব সহজেই বাসা বাঁধবে। যা সরাসরি আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই আগে থেকে সাবধান হোন।